গতসপ্তাহে দাদাগিরির শনিবারের এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। তিনি বর্তমানে সকলের প্রিয় ‘বাদাম কাকা’। তার তৈরি ‘কাঁচা বাদাম’ গান এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে ভুবনবাবুর এই গান। তারকা থেকে সাধারণ সকলেই এই গানের সাথে বানিয়েছেন রিল ভিডিও। কেউ আবার ভুবনবাবুর এই গানকে নতুন করে উপস্থাপন করেছেন। আবার কেউ তাকে সঙ্গে নিয়েই এই গানের সাথে বানিয়েছেন মিউজিক ভিডিও। অতএব বলাই বাহুল্য, এই মুহূর্তে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে একবারের জন্য হলেও এই গানটি শোনেননি।
এদিন দাদাগিরির মঞ্চে এসে নিজের বাদামের ঝুড়ি হাতে গানটি গাইতে গাইতে সকলের হাতে তুলে দিয়েছেন এক মুঠো বাদাম। এরপরেই দাদা ভুবনবাবুর কাছে জানতে চান এই গান তৈরি হওয়ার গল্প। দাদার প্রশ্নের উত্তরে ভুবনবাবু জানান, তিনি একবার এক কারখানায় গিয়েছিলেন যেখানে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন সিটিগোল্ডের চেন, ভাঙা মোবাইল, হাতের বালা ইত্যাদির বিনিময় কাঁচা বাদাম বিক্রি হয়। সেটি দেখার পর থেকেই তিনি সেই সমস্ত জিনিসগুলোর বিনিময়ে কাঁচা বাদাম বিক্রি করতে থাকেন। পরে সেইসমস্ত কথাগুলোকে পরপর বসিয়ে গান বানিয়ে ফেলেন। আর তারপর থেকেই সেই গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করে থাকেন। বর্তমানে যা গোটা বিশ্বে বিখ্যাত।
এরপর দাদা আবার জিজ্ঞাসা করেন, তার গান যে এত বিখ্যাত হয়েছে তিনি তার বদলে কিছু পেয়েছেন কিনা? এর উত্তরে ভুবনবাবু জানান, তিনি বিশেষ কিছুই পাননি। এক ব্যক্তি তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তবে সেই টাকা বর্তমানে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই কথা শুনে দাদা মজার ছলেই বলেন টাকা থাকলে তা শেষ হবেই। দাদার কথা শুনে হাসতে থাকেন তিনি।
এদিন দাদাগিরির মঞ্চে এসে সংসারের অভাব মেটাতে তিনি কিভাবে বাদাম বিক্রেতা হয়ে উঠলেন সেকথা নিজেই জানালেন তিনি। বীরভূমে একটি ঘরের মধ্যে তিনি নিজের সমস্ত পরিবারের সাথে থাকেন সেকথাও জানালেন ভুবনবাবু। জি বাংলা তরফ থেকে একটি ছোট্ট ভিডিওর মাধ্যমে তার জীবনযাত্রার কিছু ঝলক তুলে ধরা হয়েছে দাদাগিরির মঞ্চে। তবে এদিন শুধুমাত্র দাদাগিরিতে এসে খেললেনই না, বরং ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সকলের প্রিয় বাদাম কাকু। সম্প্রতি শোনা গেছে একটি কিংবা দুটি সঙ্গীত সংস্থার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও সম্প্রতি একটি পাঁচতারা হোটেলে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে ভুবন বাদ্যকরকে।