আমেদাবাদ-মুম্বই রুটের পর দিল্লি-হাওড়ার মধ্যে বুলেট ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। দিল্লি-হাওড়া রুটে এই ট্রেনটি বক্সার, পাটনা এবং গয়া হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর জন্য তিনটি জেলাতেই আলাদা স্টেশন তৈরি করা হবে। বুলেট ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার।
এই ট্রেনে পাটনা থেকে নয়াদিল্লি যাত্রা মাত্র ৩ ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে। বর্তমানে ট্রেনে দিল্লি ও পাটনার মধ্যে যাতায়াত করতে ১৭ ঘন্টা সময় লাগে। শুধু তাই নয়, বুলেট ট্রেনের জন্য বিহারে এলিভেটেড ট্র্যাক নির্মাণের রুটও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এলিভেটেড ট্র্যাকের জন্য স্টেশন নির্মাণ এবং জমি অধিগ্রহণের কাজও শীঘ্রই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের দল আগস্টের শেষ সপ্তাহেই পাটনায় পৌঁছতে পারে।
স্টেশন নির্মাণের জন্য পাটনার ফুলওয়ারি বা বিহতার কোনও একটিতে স্টেশন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করা হবে। ১৬৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যাত্রাপথের জন্য ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ভারতীয় রেল একটি সংস্থার হাতে সমীক্ষার দায়িত্ব তুলে দেয়।
মনে করা হচ্ছে, দিল্লি-হাওড়া রেল প্রকল্পের কাজ দু’দফায় শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ে ৮১৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। লখনউ হয়ে দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে এই ট্র্যাক তৈরি হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে অযোধ্যাও। দ্বিতীয় পর্যায়ে বারাণসী-হাওড়া ভায়া পাটনা রুটের কাজ হবে। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। বারাণসী, বক্সার, আরা, পাটনা এবং নওয়াদা, ধানবাদ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান এবং হাওড়ায় স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে দেশের প্রথম হাইস্পিড রেললাইন তৈরি হচ্ছে। এই করিডোরটি ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই করিডোরে দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রের তলদেশে একটি টানেলও নির্মাণ করা হচ্ছে। বিলিমোরা এবং সুরাটের মধ্যে ট্রেনের পরীক্ষাটি ২০২৬ সালের মধ্যে করার লক্ষ্য রয়েছে।