বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হতে চলেছে ভারতের প্রথম ইঞ্জিন বিহীন ট্রেন। ইতিমধ্যেই চলে এসেছে হাওড়া স্টেশনে। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত রাস্তায় এই ট্রেন চলবে। এই ট্রেনে সফর করলে যাত্রীরা মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন। বহুপথীক্ষিত সেই বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস এর অন্দরসজ্জা কিরকম? এই ট্রেনে আপনারা পাচ্ছেন কোন কোন ফিচার, চলুন সেটাই দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
দেশের বাকি মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে একটি পৃথক ইঞ্জিন কোচ জুড়ে তারপর এই ট্রেন চালানো হয়। কিন্তু বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন বুলেট কিংবা মেট্রো ট্রেনের মত ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন। অর্থাৎ এই ট্রেনে কোন অতিরিক্ত ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এ যদি আপনি যাত্রা করেন তবে আপনার ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে, খাবারের দাম ধরা থাকবে এবং আপনি আপনার সময় মত আপনার চেয়ারে বসে খাবার পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি ভ্রমণ করার পরিকল্পনায় থাকেন তাহলে আপনাকে ট্রেনে সকালের ব্রেকফাস্ট এবং দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে। অন্যদিকে যদি আপনি শিলিগুড়ি থেকে হাওড়া আসেন তবে ট্রেনে আপনাকে চা জল খাবার এবং রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে।
এই মুহূর্তে বন্দে ভারতে এক্সপ্রেসের সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ১৬ টি চেয়ার কার কোচ রয়েছে। এখানে আবার দুই ধরনের বসার আসন রয়েছে। একটি হলো ইকোনোমি এবং অপরটি হল এক্সিকিউটিভ ক্লাস। তবে সব থেকে বড় বিষয়টি হলো, যদি আপনি এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভ্রমণ করেন তাহলে আপনি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরতে পারে এমন চেয়ার পেয়ে যাবেন। তবে ইকনোমিক ক্লাসে এই সুবিধা কিন্তু পাবেন না আপনি।
তার পাশাপাশি, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সবথেকে বড় সুবিধা হল স্লাইডিং ফুটস্টেপ সহ অটোমেটিক দরজা যা অনেকটা মেট্রো ট্রেনের মত। বর্তমান সময়ের শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেশি গতিতে চলবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বর্তমানে শতাব্দী এক্সপ্রেস ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় যাত্রা করে। কিন্তু বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস চলবে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিতে। তবে হাওড়া থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে এই ট্রেন ৭২ থেকে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিতে চলবে।