২৯ শে এপ্রিল, ২০২০-তে একটি বিশাল গ্রহাণু নিরাপদে পৃথিবীকে অতিক্রম করতে চলেছে। গ্রহাণুটি পৃথিবীতে আঘাত না করলেও এর এক ঝলক পর্যবেক্ষণ করতে পেশাদার এবং অপেশাদার জ্যোতির্বিদদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রহাণুটি কমপক্ষে এক মাইল চওড়া (১.৮ কিমি) এবং আকারে তার থেকে আড়াই গুণ (৪.১ কিমি) বেশি হতে পারে। রোমের ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রকল্পে ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০-তে নিখরচায় গ্রহাণটির অনলাইন পাবলিক ভিউয়ের আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। তবে ইতালি এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এই পরিকল্পনার উপর ছায়া ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্রহাণু (৫২৭৬৮) ১৯৯৮ ওআর-২ প্রায় ৪ মিলিয়ন মাইল (৬ মিলিয়ন কিলোমিটার), বা পৃথিবী-চাঁদের দূরত্বের প্রায় ১৬ গুণ অতিক্রম করবে। এখনও পর্যন্ত এটিকে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক গ্রহাণু হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : এক আশ্চর্য ঘটনা, ডিম আর গুড় দিয়ে বাড়ি বানিয়েছেন তামিলনাড়ুর এক ইঞ্জিনিয়ার
তবে উইকিপিডিয়ায় যে ২২ টি সম্ভাব্য ক্ষতিকারক গ্রহাণু তালিকাভুক্ত রয়েছে, এগুলির কোনওটিই পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের পথে নেই বলে জানা গেছে। গ্রহাণু (৫২৭৬৮) ১৯৯৮ ওআর-২, এই গ্রহাণুটি মহাকাশে তার কক্ষপথে কমপক্ষে পরবর্তী ২০০ বছর ধরে অবস্থান করবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এই শতাব্দীর ২০৭৯ সালে গ্রহাণুটি পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে আসবে।
পুয়ের্তোরিকোর আরেসিবো অবজারভেটরির গবেষকরা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রহাণু (৫২৭৬৮) ১৯৯৮ ওআর-২ -এর উপর গবেষণা করবে। গ্রহাণুটি প্রতি ঘন্টায় ১৯৪৬১ মাইল (৩১৩২০ কিমি / ঘন্টা) বেগে মহাকাশে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে যে, আরেসিবো-র উচ্চ রেজোলিউশন রাডার গ্রহাণুর চিত্রগুলি সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। যা বিজ্ঞানীদের স্পেস রকের আকার এবং আকৃতি সম্পর্কে আরও ভাল অনুমান সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।