করোনা সংক্রমণের যাতে না ছড়ায় তার জন্য মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি বেশ কিছু পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের পর কিভাবে স্কুলগুলি চালু করা হবে, সেই জন্য একটি গাইডলাইন তৈরী করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরামর্শে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিংয়ের আধিকারিকেরা একটি গাইডলাইন তৈরী করেছে।
সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে গাইডলাইনে একাধিক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল-
১) স্কুল চালু হলেও কোনও সেমিনার বা জমায়েত এখন থেকে আর করা যাবে না।
২) আপাতত কোনও প্রার্থনা সভা করা যাবে না।
৩) সামাজিক দূরত্বতা বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে স্কুলগুলিতে মাত্র ৩০ শতাংশ করে ছাত্রছাত্রী নিয়ে ক্লাস করানো হবে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেছেন যে এনসিইআরটি-কে গাইডলাইন তৈরী করার কথা বলা হয়েছে। একসাথে যদি ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী নিয়ে ক্লাস করানো হয়, তাহলে কিভাবে কাজ করা হবে, সেটা বোঝা যাবে। এনসিইআরটি সূত্রের খবর অনুযায়ী পড়ুয়াদের জন্য দুটি পদ্ধতি ভাবা হয়েছে। কিছু সংখ্যক পড়ুয়াদের প্রথম দিন স্কুলে আসতে হবে আর বাকিদের পরের দিন। এই পদ্ধতি ছাড়া আরও একটা পদ্ধতির কথা ভাবা হয়েছে, সেট হল-শিফট ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো হবে। রাজ্যের তরফে স্কুল চালুর ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের থেকে মতামত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।