করোনার প্রকোপে মাঝপথেই বন্ধ করতে হল আইপিএল। আজ আরও দুটি কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আশায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২১ এর ১৪ তম সংস্করণ স্থগিত করা হয়। এর ফলে বড়সড় লোকসান হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের। বোর্ডেরই এক সিনিয়র কর্তা জানিয়েছেন, কম পক্ষে ২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হতে চলেছে বোর্ডের।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র বর্তমানে করোনা আক্রান্ত। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) পরবর্তী সময়ে টি-২০ লিগের অবশিষ্ট খেলাগুলি পুনরায় নির্ধারণ করবে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) খেলোয়াড় বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়র সোমবার কোভিড পজিটিভ টেস্ট করায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সাথে তাদের খেলা স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএল দলের তিনজন সদস্য – চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কাসি বিশ্বনাথন, বোলিং কোচ এল বালাজি এবং একজন বাস ক্লিনার – কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
“তিন মাস, পাঁচ মাস, ছয় মাস পরে আবার আইপিএল হোস্ট করা যেতে পারে। এটা কোনো ব্যাপার নয়। তবে এই মুহূর্তে, এটি বন্ধ করা দরকার। এবং এখন, বিদেশী খেলোয়াড়রাও বাড়ি যেতে চায়” একটি সূত্র কে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বিসিসিআই এবং আইপিএল জিসি বলেন: “বিসিসিআই খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং আইপিএল আয়োজনের সাথে জড়িত অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আপস করতে চায় না। সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কঠিন সময়, বিশেষ করে ভারতে আমরা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে, টুর্নামেন্টটি এখন স্থগিত করা একান্ত প্রয়োজন। বিসিসিআই সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, রাজ্য সমিতি, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, ফ্র্যাঞ্চাইজি, স্পনসর, অংশীদার এবং সমস্ত পরিষেবা সরবরাহকারীদের ধন্যবাদ জানাতে চায় যারা এই অত্যন্ত কঠিন সময়েও আইপিএল ২০২১ আয়োজনের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।”