করোনা ভ্যাকসিনে ৮০ শতাংশ সাফল্য লাভের সম্ভাবনা, দাবি গবেষকদের

Advertisement

Advertisement

করোনা সংক্রমণে জর্জরিত বিশ্বব্যাপী মানুষ। তবে এবার আশার আলো দেখছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। গত জানুয়ারী মাস থেকে চলছে গবেষণা। অবশেষে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন এবং তা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে মানবদেহে। বেছে নেওয়া হয়েছে ১৮ থেকে ৫৫ বছরের প্রায় ৮০০ জন সুস্থ ব্যক্তিকে। এদের মধ্যে দুটি ভাগে ভাগ করে, একদলকে Covid-19 এবং অন্যদলকে মেনিনজাইটিস এর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটো এবং অন্য একজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনে ৮০ শতাংশ সাফল্য লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির গবেষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সারা গিলবার্ট, অ্যান্ড্রু পোলার্ড, স্যান্ডি ডগলাস, টেরেসা ল্যাম্ব এবং অ্যাড্রিয়ান হিল। তারা আশা করছেন যে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলে যাবে প্রতিষেধক। অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনটির নাম ‘চ্যাডক্স১’ (ChAdOx1 nCoV-19)। এটি সাধারণত একটি ‘অ্যাডিনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন’। অ্যাডিনোভাইরাস শিম্পাঞ্জিদের থেকে তৈরি হওয়া একটি সাধারণ সর্দি-জ্বরের ভাইরাস। এই ভাইরাসটিকে ভেক্টর বা বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই জানা গেছে ব্রিটেনের তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অক্সফোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয় এছাড়াও ইউরোপের দুটি, ভারত ও চীনের একটি করে সংস্থা রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন যদি তৈরি হয়ে যায় তা কাদের আগে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রিটিশ সরকার। এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, তারা সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন এটি তৈরির জন্য। ইতিমধ্যেই ইম্পিরিয়াল কলেজেও গবেষণা শুরু হয়েছে, তবে তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে হতে জুন মাস। এর আগেই হয়তো সাফল্য লাভ করবে অক্সফোর্ড, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

Recent Posts