‘ধর্ষণের সময় নাবালক ছিলাম’, দিল্লি হাই কোর্টে দাবি নির্ভয়ার অপরাধীর
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত বছর ধরে বিচারের জন্য ঘুরছে নির্ভয়ার পরিবার। অথচ এখনও শাস্তি হল না দোষীদের। উল্টে, রোজই কোনও না কোনও দাবি নিয়ে আদালতে ছুটছে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চার অপরাধী। কারও দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। কারও দাবি, এই ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল।
বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম দোষী পবন গুপ্তা। তার দাবি, ২০১২ সালে যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন সে নাবালক ছিল। বৃহস্পতিবার এই আবেদনের শুনানি।
আরও পড়ুন : সাজা পাবে দোষীরা, আদালতের রায়কে স্বাগত জানালেন নির্ভয়ার মা
নির্ভয়া কাণ্ডে চার দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নানাভাবে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এর আগে অক্ষয় সিং ঠাকুর নামে আরেক দোষী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। রিভিউ পিটিশন দাখিল করে দাবি করেছিল, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পাশাপাশি তার বক্তব্য ছিল, এমনিতেই দিল্লিতে দূষণের থাবা। মানুষের আয়ু কমে আসছে। এরইমধ্যে আবার মৃত্যুদণ্ডের কী প্রয়োজন। যদিও বুধবার তার পিটিশন নস্যাৎ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ। বহাল রাখে ফাঁসির নির্দেশ। এরইমধ্যে সামনে আসে পবনের দাবি। এ প্রসঙ্গে নির্ভয়ার মা বলেন, এভাবে যদি বারবার আদালত দোষীদের সময় দেয়, তাহলে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা চলে যায়।
২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন দিল্লির ওই তরুণী। একটি বাসে ওঠেন তাঁরা। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায় তাঁদের জীবন। সে বাসে ছিল ৬ জন মদ্যপ। বন্ধুর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে বাসের শেষ সিটে টেনে নিয়ে যায় ওই তরুণীকে। গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায়। এখানেই থামেনি তারা। তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে ফেলে দেওয়া হয় বাস থেকে। দিল্লি পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় সফদরজং হাসপাতালে। বহু লড়াইয়ের পর ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। গোটা দেশের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন নির্ভয়া।