র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য অভিযোগ জানিয়েছে। তাই র্যাপিড টেস্ট বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে ICMR। আগামী ২ দিন সব রাজ্যকে র্যাপিড টেস্ট বন্ধ রাখার জন্য বলেছে ICMR। পশ্চিমবঙ্গে সোমবার থেকে র্যাপিড টেস্ট শুরু হয়েছে। রাজ্যের ১৪ টি হাসপাতালে র্যাপিড টেস্ট করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতার বেলগাছিয়া বস্তি থেকে প্রথম র্যাপিড টেস্ট করা শুরু হয়।
এসএসকে এম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা পিপিই পড়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বেলগাছিয়ার আবাসিকদের থেকে। এর দ্বারা কিছুটা হলেও করোনার সংক্রমণ হয়েছে কিনা বোঝা যায়। তবে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মতে এই র্যাপিড টেস্ট করে করোনা হয়েছে কিনা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় না। র্যাপিড টেস্টের রেজাল্ট যদি আইজিজি পজিটিভ হলে সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিন্তু অনেকদিন পুরোনো। আর যদি রিপোর্ট আইজিএম পজিটিভ হয় তাহলে সদ্য করোনা হয়েছে বলা হবে।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪-এ। রাজ্যে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৩ জন। করোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ের গোষ্ঠী সংক্রমণ। র্যাপিড টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় সংক্রমণের হার। চিকিৎসকদের কথায় তারা এই র্যাপিড টেস্ট করে প্রথমে এসএসকেএম-এ দেবেন এবং তারপর রিপোর্ট সরাসরি ICMR-এর অনলাইন পোর্টালে আপলোড করা হবে।