গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসাত্মক ঘটনায় মৃত্যুর জন্য বিক্ষোভকারীদের দোষারোপ করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, যে মারা যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে আসে তাকে বাঁচাতে তেমন কিছু করা সম্ভব হয় না। ‘কেউ যদি মৃত্যুর অভিপ্রায় নিয়ে আসেন, তবে সেই ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে থাকবে!’ এদিন বিধানসভার বিরোধী দলগুলিও অভিযোগ করেছে যে রাজ্য জুড়ে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে ২৪ জন মারা গিয়েছিলেন।
‘যখন কেউ গুলি চালানোর অভিপ্রায়ে রাস্তায় নামে, তখন সে মারা যায় বা পুলিশ মারা যায়।’ বিধানসভা ও আইনসভার কাউন্সিলের গভর্নর আনন্দীবেন প্যাটেলের যৌথ ভাষণকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের বুলেটে কেউ মারা যায়নি।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘যারা মারা গিয়েছিল তারা সকলেই সমস্যায় ফেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়েছিল।’
আরও পড়ুন : বঙ্গ জয়ে নয়া কৌশল বিজেপির, চাপে থাকবে শাসক দল
সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনায় জড়িত লোকেরা রাজনৈতিক সুরক্ষা পেয়েছিল বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিরোধী এক প্রবীণ নেতার ছেলেমেয়েরাও ভারত বিরোধী স্লোগান তুলতে এমন জনসভায় যোগ দিয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা। জনগণ জানে তারা কী ‘স্বাধীনতা’ চায়। প্রতিবাদকারীরা জিন্নাহর স্বপ্নকে উপলব্ধি করতে চেয়েছিল। যেখানে গান্ধীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অনেক কাজ বাকী রয়েছে।’