শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখনও চলছে রাজনৈতিক জল্পনা। গতকাল বৈঠক হয়েছিল শুভেন্দু সহ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের মাঝে। সেখানে অনেকটাই নাকি মানভঞ্জন করা সম্ভব হয়েছিল তার। এমনটাই বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রাজ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক নিয়ে যে তিনি অনেকটাই অসন্তুষ্ট তা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন অবস্থায় ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। এইদিন তিনি বলেন,শুভেন্দু বিজেপি তে আসলে অনেকটাই লাভ হবে দলের।
মুকুলের বক্তব্য,”আমি জানিনা শুভেন্দু অধিকারী কি বলেছেন। এখনও উনি একজন তৃণমূল বিধায়ক। আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। শুভেন্দু জন আন্দোলনের এক নেতা। যদি তিনি জোড়াফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে আসেন, তবে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। শুভেন্দু দলে আসলে , অনেকটাই লাভ হবে দলের। তবে ওনাদের বৈঠকে কি হয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানিনা আমি। বিজেপি ঠিক তখন সিদ্ধান্ত নেবে, যখন শুভেন্দু নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহু দিন ধরে দলের থেকে একটু একটু করে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। একের পর এক অরাজনৈতিক সভা করেন তিনি। তাতে ছিল না দলের নাম কিংবা প্রতীক ও। তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ক্রমে বেড়ে চলেছিল জল্পনা। এমন অবস্থায় গত শুক্রবার নিজের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু। তার আগে তার সাথে বৈঠক করেছিলেন দমদমের সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়। কিন্তু তাতে মেলেনি কোনও ইতিবাচক ফল। পরবর্তীতে গতকাল শুভেন্দুর সাথে বৈঠক করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাথে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায় ও। বৈঠক শেষে সৌগত রায় বলেন তিনি দলেই থাকবেন, মিটে গেছে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি। কিন্তু বুধবার সৌগত রায়কে নিজের ক্ষোভ সম্পর্কে জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন অবস্থায় আরও বেড়ে গিয়েছে তার দল পরিবর্তনের জল্পনা।