স্টাফ রিপোর্টার: তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হলেই বন্ধ কারখানা খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। তবে কারখানা খোলা হলেও তার জন্যে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকার পর খোলার ব্যাপারে নির্দেশিকা দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (NDMA)৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘করোনা হটস্পট গুলি ছাড়া বাকি এলাকায় কারখানা গুলি খোলা যাবে কিন্তু এই মুহূর্তেই বেশি উৎপাদনের দিকে নজর না দেওয়াই ভালো। লকডাউনের ফলে দীর্ঘ সময় কারখানা গুলি বন্ধ ছিল ফলে যন্ত্রপাতি, পাইপলাইন, ভালভ এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশে মরচে পড়তে পারে। তাই খুব সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে শুরুতে। কারখানা খোলার প্রথম এক সপ্তাহ ট্রায়াল রান হিসেবে দেখা হবে।’
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, রাজ্য গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা করে রাখতে হবে যাতে কোনো রকমের দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘প্রয়োজনে কারখানার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, যাতে তারা কোনো লক্ষণ দেখতে পেলেই কতৃপক্ষকে জানাতে পারে। এতে করে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।’ কারখানা নতুন ভাবে চালু হলে সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে। এর জন্য কারখানা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা দুটি শিফটের মধ্যে বেশি সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে।
বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর পর এই নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র সরকার। বিশাখাপত্তনমের ওই রাসায়নিক কারখানার ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিশাখাপত্তনাম ছাড়াও তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড়ের কারখানা থেকেও গ্যাস লিক হয়। এই ঘটনা গুলির দিকে তাকিয়েই আপাতত কারখানা খুললে এক সপ্তাহ ট্রায়াল রান চলবে।