নিউজপলিটিক্সরাজ্য

হারলে পিকের জন্যই হারবো, প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আরো এক বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক

Advertisement

তৃণমূলে এবারে আরো একজন বিদ্রোহী নেতা। এবার প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সরব হলেন ময়নাগুড়ি র তৃণমূল বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী। বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। সেখানেই তিনি তার দলের বিরুদ্ধে এই বোমা ফাটালেন। কলকাতায় এসে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। তিনি প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বললেন,”হারলে হারবো পিকের জন্যই।” পাশাপাশি এদিন তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অনন্ত বাবু বললেন,”আমরা বিজেপি, কেপিপি, বামফ্রন্ট সহ সবাইকে নানার প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে বটে কিন্তু তাদের সমর্থন কিন্তু বাড়ছেনা। এর বদলে যদি কৃষি আইন এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন সংগঠিত করা যেত তাহলে দলের শক্তি আরো বৃদ্ধি হতো।” তিনি আরো বললেন,”পরিস্থিতি পাল্টায় কিন্তু গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। গণ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে শুধুমাত্র দেনাপাওনা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায় না। সংগঠনের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রশান্ত কিশোর কে নিযুক্ত করার পরে। এক একটা ব্লকে এক এক রকমের চাহিদা রয়েছে। কলকাতায় ঠান্ডা ঘরে বসে সেটা বোঝা যায় না।”

প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তিনি আরো মন্তব্য করলেন,”পিকেকে দিয়ে দলের বিভাজন তৈরী করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে সরাসরি ক্ষতি হয়েছে দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে। প্রশান্ত কিশোরের দলের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এরা মানুষের চাহিদা বোঝেনা। গ্রামের মানুষের সাথে মিশতে জানে না। এরা গ্রামের মানুষের ভাষা ও জানে না। গ্রামের মানুষের সাথে কথোপকথন করা এদের পক্ষে সম্ভব নয়। এদের মাধ্যমে সংগঠন কে চাঙ্গা করা যাবেনা।”

তিনি আরো দাবি করেছেন,” আমি এই মর্মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চিঠি দিয়েছি। এখানকার এলাকার কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেছি। সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, যদি আমরা সামনের বিধানসভায় হারি তাহলে সরাসরি পিকের জন্য হারবো। পিকে সংগঠনের কোন কাজে লাগছে না। বরং তাকে নিয়ে আরো সমস্যা হচ্ছে।”

এদিন তিনি আরও বলেন,”বিজেপি কেপিপির লোকেরা বলছে আমরা তো বিজেপি বা কেপিপি করলে কি সুবিধা পাব। তাহলে আমরা কেন তৃণমূল করতে যাবো?”। এছাড়াও তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেছেন,”বয়স হয়েছে। এই বয়সে নীতিভ্রষ্ট হতে পারব না। রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবো।”

গত কয়েক মাস ধরে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা। মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে শীলভদ্র দত্ত, জগদিশ বসুনিয়া সহ আরো অনেকে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এবার অনন্তদেব অধিকারী ও দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা শুরু করলেন। ফলে, প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে নতুন করে সমস্যার মধ্যে পড়লো তৃণমূল কংগ্রেস।

Related Articles

Back to top button