বেশ কয়েক মাস থেকেই বেতন বন্ধের অভিযোগ আসছে কর্মী সংগঠনগুলোর কাছ থেকে। নতুন লাইন দেওয়া থেকে শুরু করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, ডেটা এন্ট্রি, লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, বিল বণ্টনের মতো কাজের জন্য বিএসএনএল ঠিকা কর্মীদের উপর নির্ভরশীল। অথচ তাদেরই বেতন মিলছে না বেশ কয়েক মাস ধরে। তবে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই সমস্ত খাতে ৫০ খরচ কমালে তবেই মিলবে নিয়মিত বেতন। শুধু তাই নয় ঠিকা কর্মীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বেতন পেতে গেলে মেনে চলতে হবে সেগুলোও। নিয়মগুলো হলো-
১. ১৫ দিনের বেশি চালু রাখা যাবে না ঠিকার কাজ।
২. কর্মীদের বয়স হবে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর।
৩. কাজ শেষ হলে তবেই মিলবে বেতন।
৪. নিরাপত্তারক্ষীদের পরিবর্তে সেই কাজে বিএসএনএল কর্মীদের নিতে হবে।
তবে এই সমস্ত শর্ত মানতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত বিএসএনএল কন্ট্র্যাকচুয়াল লেবার ইউনিয়ন মানতে। প্রসঙ্গত, এই বেতন বিভ্রাটের কারণে কলকাতায় প্রায় ৩০ হাজার ল্যান্ড লাইন ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।