আপনার সিম কার্ড বৈধ তো? ৭ দিনের মধ্যে এই পদক্ষেপ না নিলে সিম বন্ধ হতে পারে!
ভারতের টেলিকম বিভাগ (DoT) এবং টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (TRAI) ভুয়া সিম কার্ডের অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য প্রতারণা ও সাইবার অপরাধ কমিয়ে আনা এবং গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
নতুন নিয়মে কী পরিবর্তন আসছে?
1. ভুয়া সিম কার্ড অপরাধ: অন্য কারো নামে সিম ব্যবহার করা বা ভুয়া সিম রাখাকে এখন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
2. একাধিক সিম কার্ড: একাধিক সিম থাকা গ্রাহকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা অবৈধভাবে ব্যবহৃত সিমগুলো দ্রুত বৈধ করতে পারেন।
3. হারিয়ে যাওয়া সিম: হারিয়ে যাওয়া সিমের ক্ষেত্রে দ্রুত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অভিযোগ না করলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
হাজার হাজার ভুয়া সিম ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয়
TRAI ইতোমধ্যেই হাজার হাজার ভুয়া সিম কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ভুয়া কল ও প্রতারণামূলক SMS কমে আসবে এবং গ্রাহকরা সুরক্ষিত থাকবেন।
ভুয়া সিম ব্যবহার করলে শাস্তি ও কালো তালিকাভুক্তি
1. তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা: ভুয়া সিম ব্যবহার ধরা পড়লে অভিযুক্তকে তিন বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এই সময়ে কোনো নতুন সিম নেওয়ার অনুমতি থাকবে না।
2. তথ্য শেয়ারিং: সিম জালিয়াতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে, যাতে তারা আরও সতর্ক ব্যবস্থা নিতে পারে।
3. ৭ দিনের নোটিশ: ২০২৫ সাল থেকে সরকার সন্দেহভাজন ভুয়া সিম ব্যবহারকারীদের নোটিশ পাঠাবে। নোটিশ পাওয়ার পর ৭ দিনের মধ্যে বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে সেই সিম কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের করণীয়
1. সিম কার্ড বৈধ কিনা যাচাই করুন: নিজের নামের সিম কার্ড বৈধ কি না, তা নিশ্চিত করুন।
2. হারানো সিমের জন্য অভিযোগ করুন: হারিয়ে যাওয়া সিম কার্ডের জন্য অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের করুন।
3. অবৈধ সিম বন্ধ করুন: অন্য কারো নামে সিম থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করুন।
জনগণের সুরক্ষা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
সরকারের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনবে এবং প্রতারণা ও সাইবার অপরাধের ঝুঁকি কমাবে। তাই গ্রাহকদের উচিত এখন থেকেই সতর্ক হয়ে সঠিক নিয়ম মেনে চলা।
সঠিক নিয়ম মেনে চলুন, প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকুন।