ভারতের টেলিকম বিভাগ (DoT) এবং টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (TRAI) ভুয়া সিম কার্ডের অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য প্রতারণা ও সাইবার অপরাধ কমিয়ে আনা এবং গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
নতুন নিয়মে কী পরিবর্তন আসছে?
1. ভুয়া সিম কার্ড অপরাধ: অন্য কারো নামে সিম ব্যবহার করা বা ভুয়া সিম রাখাকে এখন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
2. একাধিক সিম কার্ড: একাধিক সিম থাকা গ্রাহকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা অবৈধভাবে ব্যবহৃত সিমগুলো দ্রুত বৈধ করতে পারেন।
3. হারিয়ে যাওয়া সিম: হারিয়ে যাওয়া সিমের ক্ষেত্রে দ্রুত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। অভিযোগ না করলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowহাজার হাজার ভুয়া সিম ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয়
TRAI ইতোমধ্যেই হাজার হাজার ভুয়া সিম কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ভুয়া কল ও প্রতারণামূলক SMS কমে আসবে এবং গ্রাহকরা সুরক্ষিত থাকবেন।
ভুয়া সিম ব্যবহার করলে শাস্তি ও কালো তালিকাভুক্তি
1. তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা: ভুয়া সিম ব্যবহার ধরা পড়লে অভিযুক্তকে তিন বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এই সময়ে কোনো নতুন সিম নেওয়ার অনুমতি থাকবে না।
2. তথ্য শেয়ারিং: সিম জালিয়াতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে, যাতে তারা আরও সতর্ক ব্যবস্থা নিতে পারে।
3. ৭ দিনের নোটিশ: ২০২৫ সাল থেকে সরকার সন্দেহভাজন ভুয়া সিম ব্যবহারকারীদের নোটিশ পাঠাবে। নোটিশ পাওয়ার পর ৭ দিনের মধ্যে বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে সেই সিম কার্ড বাতিল হয়ে যাবে।
গ্রাহকদের করণীয়
1. সিম কার্ড বৈধ কিনা যাচাই করুন: নিজের নামের সিম কার্ড বৈধ কি না, তা নিশ্চিত করুন।
2. হারানো সিমের জন্য অভিযোগ করুন: হারিয়ে যাওয়া সিম কার্ডের জন্য অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের করুন।
3. অবৈধ সিম বন্ধ করুন: অন্য কারো নামে সিম থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করুন।
জনগণের সুরক্ষা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি
সরকারের এই পদক্ষেপ ডিজিটাল পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনবে এবং প্রতারণা ও সাইবার অপরাধের ঝুঁকি কমাবে। তাই গ্রাহকদের উচিত এখন থেকেই সতর্ক হয়ে সঠিক নিয়ম মেনে চলা।
সঠিক নিয়ম মেনে চলুন, প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকুন।