মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হবে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে আয়, জানুন এই দারুন ব্যবসার ব্যাপারে সবকিছু
আপনি বাড়িতেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন
বর্তমানে অনেকেই চাকরি ছেড়ে নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন। কিন্তু কী ব্যবসা শুরু করবেন, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি একটি চমৎকার ব্যবসার ধারণা। এটা হলো আচারের ব্যবসা। আচারের ব্যবসায় আজকাল প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে আচারের চাহিদা ব্যাপক। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ খাবারের সঙ্গে আচার খান। তাই এই ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। আর সবথেকে বড় কথাটা হল, আচারের ব্যবসা অত্যন্ত কম পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায়। শুরুতে আপনি ঘরে বসেই আচার তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য একটি ছোটখাটো রান্নাঘর এবং কিছু সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে।
আচার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল, মশলা ইত্যাদি। এছাড়াও আপনার লাগবে লবণ, চিনি, ভিনেগার ইত্যাদি। আচার তৈরির প্রক্রিয়াও খুবই সহজ। তবে, ভালো মানের আচার তৈরির জন্য কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, কাঁচামাল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সবজি বা ফল ভালোভাবে মজে যেতে হবে। তৃতীয়ত, মশলা সঠিক অনুপাতে দিতে হবে। এই তিনটি বিষয় ঠিকঠাক না থাকলে আপনার আচার ভালো হবেনা।
আচার তৈরি করে আপনি তা অনলাইনে বা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনে বিক্রি করতে হলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। অফলাইনে বিক্রি করতে হলে আপনি স্থানীয় দোকান বা সুপার শপের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আচারের ব্যবসায় ভালো লাভবান হওয়ার জন্য আপনাকে ভালো মানের আচার তৈরি করতে হবে। এছাড়াও, আপনার বিপণন কৌশল ভালো হতে হবে। তাহলেই আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।
কিভাবে শুরু করবেন?
প্রথমে আপনাকে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন কোন আচার তৈরি করতে চাইছেন। এই পরিকল্পনায় আপনাকে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, লক্ষ্যবস্তু, বিপণন কৌশল ইত্যাদি বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এরপর, আচার তৈরির জন্য আপনাকে ভালো মানের কাঁচামাল কিনতে হবে বাজার থেকে। সাধারণত ভারতে যে সব আচারের জনপ্রিয়তা বেশি সেগুলো মূলত সবজি অথবা ফল দিয়েই বানানো হয়। এজন্য আপনি স্থানীয় বাজার, কৃষি বাজার বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকেই কাঁচামাল সংগ্রহ করতে পারেন।
এরপর একটা বড় ধাপ রয়েছে। আচার বিক্রি করতে গেলে আপনাকে FSSAI এর লাইসেন্স নিতে হবে। আপনাকে খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে একটি ব্র্যান্ড নাম ভাবতে হবে এবং সেটাকে রেজিস্টার করতে হবে। এরপর করতে হবে ট্রেড লাইসেন্স। আপনার কোম্পানির তরফে কোন কোন প্রোডাক্ট তৈরি হয় সব আপনাকে লিস্ট করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটে। তারপর আপনাকে FSSAI এর ওয়েবসাইট থেকে এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। সাধারণত যদি আপনার প্রোডাক্ট ভালো হয়, Fssai আপনার লাইসেন্স আটকে দেয় না। তাই এটা নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
কত টাকা আয় হবে?
আপনি যদি আচার ব্যবসা শুরু করেন তবে আপনি এটি কম খরচে শুরু করতে পারেন। আপনার ব্যবসার বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি ৯০০ বর্গফুট উৎপাদন সুবিধা সহ আরও বড় পরিসরে আপনার কারখানা প্রসারিত করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। যাইহোক, আপনি ন্যূনতম আর্থিক ঝুঁকি সহ সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করার সাথে সাথে সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকার বিনিয়োগের সাথে আপনার ব্যবসার যাত্রা শুরু করতে পারেন। আচারের স্বাদ এবং গুণমান ভালো হলে এবং বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ভালো হলে, আপনার ১০,০০০ টাকার প্রাথমিক বিনিয়োগ আপনাকে দারুন ভাল রিটার্ন দিতে পারে। আপনি প্রথম মাসেই ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে আয় করতে পারেন।