ব্লক অর নট টু ব্লক। এই প্রশ্নটা সোশ্যাল মিডিয়ার আধিপত্যের যুগে বারেবারে ঘুরে ফিরে আসে আমাদের জীবনে। আর যখন প্রাক্তনকে ব্লক করার প্রসঙ্গ ওঠে?সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তনকে বন্ধু তালিকায় রেখে দেওয়ার কিছু সমস্যা রয়েছে। আবার হঠাৎ করে তাঁকে ব্লক করে দেবেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত নিতেও অনেক সময় মুশকিলে পরেন অনেকে। বিশেষত প্রাক্তনের সঙ্গে যদি তিক্ততা না থাক, বরং বন্ধুত্বের রেশ যদি সেই সম্পর্কে থেকে থাকে, তাহলে তাঁকে ব্লক করবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া মুশকিল।
আমরা আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারি। একটা চেকলিস্ট তৈরি করার চেষ্টা করলাম। এগুলো মিলিয়ে নিন। দেখবেন, সিদ্ধান্ত নিতে আর কোনও সমস্যা হবে না।
● প্রাক্তনের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করলেই জীবনে সহজে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এমনটা মনে করেন রিলেশনশিপ নিয়ে কাজ করা কিছু বিশেষজ্ঞ। কারণ একটা সময় এই সম্পর্কের সঙ্গে আপনি ইমোশনালি জড়িয়ে ছিলেন। নিশ্চয়ই মতের অমিল বা তিক্ততা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন দুজনেই। প্রাক্তনকে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু তালিকায় রাখলে যদি আপনার এগিয়ে চলার পথে বাধা হয়, তাহলে ব্লক করে দেওয়াই ভাল।
● প্রাক্তনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন আপনার জীবন যেমন ছিল, তার পরিবর্তন ঘটবেই। সেটা মানিয়ে নিতে সমস্যা হলে ব্লক করে রাখুন।
● আপনাদের নিশ্চয়ই কিছু বন্ধু বা চেনা-পরিচিতির গণ্ডি এক ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তাঁদের দিক থেকে কোনও পরামর্শ এলে তা যদি আপনাকে নেগেটিভ ভাবে এফেক্ট করে, এবং সেই আলোচনায় যদি প্রাক্তনেরও মদত থাকে, তাহলে সোশ্যাল তাঁকে ব্লক করে রাখুন।
● প্রাক্তনের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের তুলনা করবেন না। যদি দেখা যায়, প্রাক্তন প্রমাণ করতে চাইছেন, তিনি আগের থেকে এখন অনেক ভাল আছেন, সেটাও তাঁর বিষয়। এসবে নিজেকে না জড়াতে চাইলে ব্লক করে দিন।
● সম্পর্কে থাকার সময় সোশ্যালি প্রাক্তনকে ট্যাগ করা, মেসেজ পাঠানো আপনার অভ্যেস ছিল হয়তো। এখন হয়তো সেই অভ্যেসে বদল চান। তাই ভুলবশতও প্রাক্তনের কাছে অবাঞ্ছিত মেসেজ যাতে না চলে যায়, তাই ব্লক করে রাখাই শ্রেয়।
● যদি সম্পর্কটা তিক্ততায় শেষ হয়, আপনাকে প্রাক্তন ঠকান, তাহলে যে তাঁকে ব্লক করতেই হবে, এই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা থাকার কথা নয়।
● আপনার পার্টনারও আপনাকে সোশ্যাস মিডিয়ায় ব্লক করে দিতে পারেন। তাতে তো আপনার খারাপ লাগবে। তাই সেই কাজটা হওয়ার আগে আপনি নিজেই পার্টনারকে ব্লক করে দিন।