শ্রেয়া চ্যাটার্জী – করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে দাবানলের মতো ছেয়ে গেছে। প্রত্যেকে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে বাঁচতে যে যার মতন করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকছেন, মাঝেমাঝে হাত ধুচ্ছেন, হাঁচি, কাশি হলে বা অযথা নাকে, মুখে হাত দিচ্ছে না। সকলেই এটা মোটামুটি মেনে চলছেন। তাছাড়া সরকার থেকে ও নানান রকমের স্প্রে করানো হচ্ছে ভাইরাস তাড়ানোর জন্য। IIT খড়্গপুরের ড.দেবায়ন সাহা AIIMS এর শশী রাজান এই ধরনের ভাইরাস তাড়ানোর জন্য অনেক সুন্দর একটি মেশিন আবিষ্কার করেছেন। এই মেশিনটির নাম দেওয়া হয়েছে Airlens minus Corona.
এই মেশিনটি করোনা ভাইরাস কে একবারে সমূলে বিনাশ করবে। এমনটাই দাবি আবিষ্কারকদের। মেশিনটি দেখতে অনেকটা মানুষ আকৃতির রোবটের মত। এই মেশিনটি জলের ফোঁটা চারিদিকে ছড়িয়ে দেবে এবং এই জলটি বৈজ্ঞানিক ভাষায় আয়োনাইসড ওয়াটার। করোনাভাইরাস এর উপরে যখনই জলটি ছিটিয়ে দেওয়া হবে, এটিই ভাইরাসটির প্রোটিন কে ভেঙে দেবে এবং এই মেশিনটি খুব সহজেই যেখানে অনেক জনসমাবেশ আছে তার উপরে বর্ষণ করা যায়। এটি মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। যদিও বারবার বলা হচ্ছে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনাভাইরাস মুক্তিতে সাহায্য করবে, কথাটি সত্যি হলেও সেটা খুব ছোট্ট পরিসরে, যেমন হাত ধোয়া এইসবের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু করোনাভাইরাস কে মুক্ত করতে এই রোবটটি জুড়ি মেলা ভার এমনটাই জানাচ্ছেন এর আবিষ্কর্তারা।
একটার পর একটা জিনিস আবিষ্কার করে আমাদের ভারতীয়রা প্রমাণ করে দিচ্ছেন তারা কোন অংশে কম নয়। ইতালির মধ্যে শিক্ষার অহংকার ছিল, চিকিৎসাশাস্ত্রে অহংকার ছিল, তাই পরিবেশে পরিবর্তন-এ ভয় না পেয়ে সে এগিয়ে চলেছিল তার মতন করে কিন্তু তার ফল সে আজ হাতেনাতে ভোগ করছে। যতই চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নত হোক করোনাভাইরাস এর কাছে তাকে আজ মাথানত করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা ভারতীয়রাও কোন অংশে কম নয়। অনেকেই ভারতে পড়াশোনা করে ভারতের ভূমিকে ভুলে গিয়ে বিদেশে যান, তারা হয়তো আজ ভাবছেন যে, এই সময় ভারতে থাকলে তাদের জীবনটা অনেক বেশি ঝুঁকিমুক্ত হতো।