করোনা সংক্রমণের বিস্তার অনুযায়ী গোটা রাজ্যকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মধ্যে গ্রিন জোনের আওতায় থাকা জেলাগুলোতে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করতে চলেছে প্রশাসন। বুধবার নবান্নে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম, গ্রিন জোনে থাকা এই সমস্ত জেলায় বেশ কিছু পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সোমবার থেকে মিলবে বিভিন্ন পরিষেবা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যে পরিষেবাগুলি মিলবে, সেগুলি হল-
১. নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে খোলা যাবে ইলেকট্রনিক্স, স্টেশনারি, মোবাইল রিচার্জ, হার্ডওয়ার, চা এবং পান-সিগারেটের দোকান। তবে প্রকাশ্যে পান ও সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
২. ট্যাক্সি পরিষেবা চালু থাকবে গ্রিন জোনভুক্ত জেলাগুলোতে।
৩. ২০ জন যাত্রীকে নিয়ে চালানো যাবে বেসরকারি বাস। তবে যাত্রীদের অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
৪. গ্রিন জোনের জেলাগুলোতে জুটমিলে কাজ শুরু করা যাবে।
তবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে সেলুন ও বিউটি পার্লারের ওপর। রাজ্যের কোন অংশেই খোলা যাবে না সেলুন ও বিউটি পার্লার।
এই সমস্ত পরিষেবাই মিলবে গ্রিন জোনের আওতাধীন জেলাগুলোতে। রেড জোনের জেলাগুলোতে কড়া করা হবে লকডাউনের বিধিনিষেধ। একইসঙ্গে কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলোতেও জারি থাকবে লকডাউন। এই সমস্ত এলাকায় আরও কঠোর হওয়ার ঈঙ্গিত দিয়েছে প্রশাসন।