ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থ স্থান হলো কলকাতার কালীঘাট। দেশের নানা জায়গা থেকে মায়ের মন্দির দেখতে ও পুজো দিতে সারা বছরই প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় এখানে। কথিত আছে এখান থেকে কেউই খালি হাতে ফেরত যায় না। মা কালী সকলেরই মনস্কামনা পূরণ করেন। প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপুজো, দীপান্বিতা কালীপূজোর দিন প্রচুর লোক মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। পূরাণ মতে, মহাদেব যখন দক্ষ কন্যা দেবী সতীর মৃতদেহ নিয়ে তান্ডব নৃত্য শুরু করেন তখন পৃথিবী ধংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দিয়ে দেবী সতীর দেহকে খন্ড বিখন্ড করে দেন। দেহাংশগুলি যেখানে গিয়ে পড়ে সেগুলি এক একটি শক্তি পিঠে পরিণত হয়। এই রকমই একটি শক্তি পিঠ হলো কালীঘাট মন্দির।
এমনিতে মায়ের পুজো করা যেতে পারে যে-কোন সময়েই। কিন্তু রাতের দিকে বা আলো নিভে গেলে মায়ের পুজো করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। শক্তিরূপিণী মায়ের পুজোয় সব থেকে ভাল ফল পাওয়া যায় রাতের আঁধারে বা দিনের আলোর পরে। আর এই পুজোর জন্যেই দেশবিদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয় প্রতি বছর। কালীঘাটের এই মন্দিরটি প্রায় ২০০ বছরের পুরানো। কথিত আছে এক ব্রাহ্মণ হুগলি নদীতে একটি আলো দেখতে পেয়ে আকৃষ্ট হন, এবং সেখানে গিয়ে আঙুলের আকারের একটি পাথর তুলে এনে একটি ছোট্ট মন্দিরে পুজো শুরু করেন। পরে এই মন্দিরটাকে বড় করা হয়।
আগে এই মন্দিরে নিয়মিত বলি দেওয়া হতো। এখন নিয়মিত বলির প্রচলন উঠে গেলেও, বিশেষ বিশেষ দিনে এখনো বলি দেওয়া হয় এখানে। বর্তমানে দেবীর যে মুর্তিটি পুজো করা হয় সেটি কাঠের তৈরি এবং সোনা ও রুপোর কাজ করা।