২০২৪ সালে বাড়তে পারে আয় করের মৌলিক ছাড়, কত হবে আয়করের নিম্নসীমা
দশ বছর আগে এই সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের অন্তর্বর্তী বাজেটে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবারেও ব্যক্তিগত আয় করার উপরে ছাড় পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেতনভোগী শ্রেণী এবং ক্ষুদ্র করদাতাদের স্বস্তি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই বাজেটে মূল করের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩.৫ লাখ টাকা করা হতে পারে। অর্থাৎ সেক্ষেত্র, অনেক ব্যক্তিকেই এখন আর কর দিতে হবে না। ২০১৪ সালে শেষবারের মতো এই করের সীমা পরিবর্তন করা হয়েছিল। দশ বছর আগে দুই লক্ষ টাকা থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছিল এই সীমা। তবে কিছু সংগঠন এই সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ করার দাবিও জানিয়েছে।
বিগত ১০ বছরে ২.৫ লাখ টাকা থেকে করের সীমা কিন্তু বৃদ্ধি পায়নি। ৫০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কিন্তু চালু হয়েছিল মাত্র তিন বছর আগে। আর এই ডিডাকশন শুধুমাত্র প্রযোজ্য হয়েছিল বেতনভোগী শ্রেণীর ক্ষেত্রে। মৌলিক ছাড়ের সীমা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে মধ্যবিত্তের হাতে আর একটু টাকা আসতে পারে। এর ফলে তাদের সাশ্রয় হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়বে। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি রেখেছে অনেকগুলি সংস্থা।
বর্তমানে আয়করের ধারা ৮০সি অনুসারে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড়া পাওয়া যায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে। ইনস্টিটিউট অফ চার্টার অ্যাকাউন্টস অফ ইন্ডিয়ার মত সংস্থাগুলি এই আয়কর ছাড়ের সীমা দ্বিগুণ করার দাবি রেখেছে। তারা বলেছে, ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প থেকে শুরু করে বীমা পলিসি এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীরা ৮০সি এর সীমা বৃদ্ধির ফলে সব থেকে বেশি উপকৃত হতে পারে। তার পাশাপাশি, এই আয়করের ধারা অনুযায়ী কর ছাড়ের সীমাও বৃদ্ধি করার দাবি রেখেছেন সকলে।