করোনা মহামারির পর থেকে ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার অনেক বেড়েছে। এখন বেশিরভাগ মানুষই ইউপিআই, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন। তবে এখনও অনেকেই ক্যাশ দিয়ে লেনদেন করতে পছন্দ করেন। এজন্য অনেকে একবারে বেশি ক্যাশ তুলে নেন। কিন্তু বাড়িতে কত টাকা ক্যাশ রাখা যায়, সে সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। এই নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই জরিমানার শিকার হন।
আয়কর আইন অনুসারে, বাড়িতে যত টাকা ক্যাশ রাখা যায়, তার কোনো সীমা নেই। তবে যদি কোনো তদন্তকারী সংস্থার হাতে বাড়িতে রাখা ক্যাশ ধরা পড়ে, তাহলে সেই ক্যাশের উৎস জানাতে হবে। যদি ক্যাশটি বৈধ উপায়ে উপার্জিত হয় এবং এর যথাযথ ডকুমেন্টস থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে যদি ক্যাশের উৎস জানাতে না পারেন, তাহলে তদন্তকারী সংস্থা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়াও, একবারে ৫০,০০০ টাকার বেশি ক্যাশ জমা বা তোলার জন্য প্যান নম্বর দিতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি এক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি ক্যাশ জমা করেন, তাহলে তাকে প্যান এবং আধার সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। প্যান এবং আধার সম্পর্কে তথ্য না দেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। এছাড়াও, ২ লক্ষ টাকার বেশি ক্যাশ পেমেন্ট করার জন্য প্যান এবং আধার কার্ড দেখাতে হবে। কোনও সম্পদ ক্রয় করার ক্ষেত্রে যদি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করা হয়, তাহলে যেকোনও ভারতীয় নাগরিক তদন্তের আওতায় আসবেন। ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডে অর্থ প্রদানের সময়, যদি কোনও কার্ডধারী একবারে এক লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করেন তাহলেও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে।