ভারত ও চিনের মধ্যে তেমন কোনো মধুর সম্পর্ক না থাকায় এই দুটি দেশের মধ্যে একটি ঠান্ডা যুদ্ধ লেগে আছে। তাই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হলেই ভারতকে বিশ্ব দরবারে কোণঠাসা করার জন্য বারবার চিনের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এবারে পাকিস্তানের আশায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আলোচনায় বসলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, বাতিল থাকল কাশ্মীর প্রসঙ্গট। কয়েক দশকের টানাপোড়নকে পিছনে ফেলে এবার নয়া দিল্লির সাথে বরফ গলাতে তৎপর বেজিং।
শুক্র ও আজ, শনিবার চেন্নাই থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে মমল্লপুরমের কাছে একটি রিসর্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের মধ্যে দুই দফায় বৈঠক হয়। এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে একসাথে লড়াই করে দমন করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই প্রতিবেশী দেশ ।এছাড়াও বানিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলবে বলে জানায় দুই দেশ।তাই কার্যত কাশ্মীর ও অরুণাচলের মতো বিতর্কিত বিষয় সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেলেন দুই প্রধান। চিনের ইউহান প্রদেশে যে উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সেটি পরিণতি পেলো মমল্লপুরমে।
এই প্রসঙ্গে মোদীজি বলেন, “ইউহান শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও চিনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ককে জোরদার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলো।আর চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে দুই দেশই পারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” আলোচনার পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে খুশি দেখা যায়।তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আগ্রাসী সুর পাল্টে এবার মোদী – জিনপিং সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে উচ্ছ্বসিত চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমও।