মারণ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মনুষ্য প্রজাতিকে রক্ষা করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা করোনার প্রতিষেধক আবিস্কারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এই প্রতিষেধক আবিস্কারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি করোনার প্রতিষেধক। তবে গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত গবেষকরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি প্রতিষেধকটিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন অনেকটা পর্যায় অতিক্রম করে গিয়েছে। যার ফলে বিজ্ঞানীরা এই প্রতিষেধকটির উপর অনেকটা নির্ভরশীল।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধকটি অনেকটা পর্যায় অতিক্রম করার পর ভারতীয় সংস্থা পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট ওই প্রতিষেধকটি তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রতিষেধক তৈরিতে এবার সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। তাঁদের লক্ষ্য ভারতের বাইরে বিশ্বের যে গরীব দেশ আছে সেখানে অনেক স্বল্প মূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এই চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে GAVI ও বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
অক্সফোর্ডের তৈরি প্রতিষেধকটির দাম হবে প্রতি ডোজ ৩ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় দাম ২২৫ টাকা। সিরাম ইনস্টিটিউট ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও ৯২ টি দেশে এই প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। আর তার জন্যে GAVI ও বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের তরফে সিরাম ইনস্টিটিউটকে ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতে শুধু অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ChAdOx1 nCoV-19 প্রতিষেধকটি নয়, ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থাও করোনা টিকা প্রস্তুত করতে নিরন্তর পরিশ্রম করছে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা শুক্রবার টুইট করে বিল গেটসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেছেন, ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হবে ওই প্রতিষেধকের। ভ্যাকসিনটির দাম যতটা সম্ভব কম করা যায় সেই পথেই এগিয়েছেন তাঁরা। যাতে বিশ্বের যেসব গরীব ও অনুন্নত দেশ রয়েছে সেখানে পৌঁছে দেওয়া যায়।