সদ্য ভারতের হাতে আসা পাঁচটি রাফায়েল যুদ্ধ বিমান হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ী অঞ্চলে নাইট ফ্লাইং অনুশীলন করছে। ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের নির্দিষ্ট ক্ষমতা পেরিয়ে গোল্ডেন অ্যারোস স্কোয়াড্রন এবং এসসিএএলপি এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্ট্যান্ড-অফ অস্ত্র প্রস্তুত করতে এই প্রশিক্ষণ বলে জানা গেছে। লাদাখ সেক্টরের ১ হাজার ৫৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে এই যুদ্ধ বিমানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
২৯ জুলাই থেকে আম্বালায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমান ঘাঁটিতে রাফায়েল যুদ্ধ বিমানের প্রথম দলটি পুরোপুরি চালু রয়েছে। প্রথম ১৮ টি প্ল্যাটফর্ম আম্বালায় স্থাপন করা হবে এবং পরবর্তী ১৮ টি যুদ্ধ বিমান হাসিমারা বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করবে। ভুটানের সীমানা ডাসল্ট এভিয়েশনের তৈরি ৩৬ টি জেট কেনার জন্য চুক্তি করেছে ভারত, সাউথ ব্লক সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলি এলএসি থেকে দূরে থাকছে যাতে চিন অধিকৃত আকসাই চিনে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রাডার দ্বারা এদের ফ্রিকোয়েন্সি ট্র্যাক ও জ্যাম করতে না পারে। সামরিক বিমান বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বলেন, রাফায়েল যুদ্ধ বিমান গুলি লাদাখ সেক্টরে প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এই সমস্ত এই যুদ্ধ বিমান গুলি প্রোগ্রামযোগ্য সংকেত প্রসেসরের (পিএসপি) সজ্জিত। শত্রুদের রাডার এড়ানোর ক্ষেত্রে এদের ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। ‘যদিও চীনা পিএলএ-তে নজর রাখার জন্য তাদের অধিকৃত আকসাই চিন অঞ্চলে পাহাড়ের চূড়ায় তাদের বৈদ্যুতিন রাডার স্থাপন করেছে। সেই দিক মাথায় রেখেই প্রশিক্ষণ করতে হবে।’ জানালেন এক বিশেষজ্ঞ।