সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্প – মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে অক্সফোর্ড আবিস্কৃত করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের মূল্য প্রায় ৩ ডলার হবে। এর অর্থ হল কোভিশিল্ড, যা পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) তৈরি করছে, ভারতে প্রতি ডোজের জন্য তার দাম হবে প্রায় ২২৫ টাকা।
সম্প্রতি, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) এসআইআইকে ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ChAdOx1 nCoV-19 ভ্যাকসিন বর্তমানে ব্রিটেন ও ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
সেরাম ইনস্টিটিউট বুধবার ঘোষণা করেছে যে, তারা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সাথে একটি নতুন লগ্নির অংশীদারিত্ব স্বাক্ষর করেছে। যার উদ্দেশ্য হল, ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন ও বিতরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লুএইচও) নিশ্চিত করেছে যে, নোভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী ৬ টি সংস্থা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ছাড়াও আরও ৫ টি সংস্থার ভ্যাকসিন বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় রয়েছে। তারা হল- মোডার্না ও এনআইএআইডি; বায়োএনটেক, ফোসুন ফার্মা ও ফাইজার; সিনোভাক; বায়োলজিকাল প্রোডাক্ট অফ উহান ইনস্টিটিউট ও সিনোফর্ম এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিকাল প্রোডাক্ট ও সিনোফর্ম।