কেন্দ্রকে নিজেদের কোষাগার থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা দিতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে বৈঠক বসে রিজার্ভ ব্যাংক বোর্ডের। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার জন্য প্রবল ভাবে ধ্বস নেমেছে অর্থনীতিতে। আর সেই ঘাটতি কিছুটা পূরণ করতেই রিজার্ভ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত।
একটি রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ৬.৬২ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে, যা চলতি বছরের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত আর্থিক ঘাটতির মাত্রার থেকে ৮৩.২ শতাংশ বেশি। করোনার জেরে জারি থাকা লকডাউন এবং সরকারের একাধিক ত্রাণ প্রকল্পে টাকা ব্যয় এই ঘাটতির প্রধান কারণ। এমন সময়েই রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে কেন্দ্রকে এই সাহায্য করার কথা ঘোষণা করা হলো। এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে সরকারকে ২৮ হাজার কোটি টাকা ও তার আগে ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক।
আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রতিবছরই সরকারকে ডিভিডেন্ট হিসেবে আর্থিক সহায়তা করে রিজার্ভ ব্যাংক। সেই সাহায্যের থেকেই কেন্দ্রকে এই টাকা দেওয়া হলো। প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে কেন্দ্রকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক। রিজার্ভ ব্যাংকের এই সাহায্য নিয়ে সেই সময় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিল কেন্দ্র সরকার। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে চলতি বছর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.১ শতাংশ কমতে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংকের এই সাহায্য কেন্দ্রের জন্য যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেকথা বলাই বাহুল্য।