সব নিয়ম কানুন মেনেই করোনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আজ থেকে স্কুল খুললো ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। তার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে কনটেইনমেন্ট জোনের স্কুল পড়ুয়ারা এখনই স্কুলে আসতে পারবে না। কিন্তু নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা আপাতত স্কুলে আসতে পারবে।
অসমে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরা স্কুলে আসবে। বাকি ক্লাসের বাচ্চারা কবে স্কুলে আসবে সেটা ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে জানানো সম্ভব নয়। দিল্লিতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। এখানে যা করোনা পরিস্থিতি তাতে আপাতত উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই একমাত্র স্কুলে আসতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
পাঞ্জাবে আপাতত আজ থেকে স্কুলে আসবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু কনটেইনমেন্ট জোনের পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারবে না। গোয়ায় ২ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। ২ অক্টোবরের পর স্কুল খুললেও আপাতত উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই একমাত্র স্কুল আসবে বলে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের তৃতীয় মাস থেকে করোনার সংক্রমণে একে একে বন্ধ করা হয় স্কুল, কলেজ, শপিং মল এবং সিনেমা হল। প্রায় তিন মাস লকডাউন চলার পর এবার একে একে খুলছে দোকান বাজার, মল এবং রেস্তোরা। এবার আনলক-৪ এর নিয়ম মেনে খুলতে চলেছে স্কুল। এখনই স্কুল খুলতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, কেরল, উত্তরাখণ্ড। বলা হয়েছিলো কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতাও পড়ে না এমন স্কুলগুলিতে শিক্ষকের পরামর্শ নিতে ছাত্ররা যেতে পারবে।
এখন আপাতত নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরাই আসতে পারবে, সেক্ষেত্রে লাগবে অভিভাবকদের অনুমতি পত্র। আর বাকি ৫০ শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে অনলাইনে পড়ানোর জন্য ও টেলি কাউন্সেলিংয়ের জন্য স্কুলে হাজিরা হবেন। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষার পরেই ছাত্র শিক্ষকরা স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন। থাকতে হবে থার্মাল স্ক্যানার। মাস্ক পড়তে হবে এবং বাধ্যতামূলক ভাবে ছাত্র শিক্ষক সকলকেই স্কুলে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।