শ্রেয়া চ্যাটার্জি – দুই যুবককে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করতে তিন মহিলা হঠাৎ করেই নিজের শাড়ি খুলে ফেললেন। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর পেরাম্বালুর জেলার কোট্টারি বাঁধে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিজেদের লজ্জাকে তোয়াক্কা না করে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে এই মহিলারা যা করে দেখালেন, তার জন্য সত্যিই তাদেরকে কুর্নিশ জানাতে হয়। লজ্জা নারীর ভূষণ কিন্তু কোন মানুষ বিপদে পড়েছে দেখে সেই নারী যখন লজ্জাকে ভুলে গিয়ে বিপদের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখন সেই নারী প্রশংসনীয়।
এই তিন মহিলা হঠাৎই লক্ষ্য করেন ওই দুই যুবক আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে। কি করবেন বুঝতে না পেরে হঠাৎ করেই নিজেদের গা থেকে শাড়ী খুলে ফেলে জলের মধ্যে নাড়াতে থাকেন। কাছাকাছি সিরুভাচ্চুর গ্রামের থেকে ১২ জন যুবক কোট্টারি গ্রামে ক্রিকেট খেলতে আসে। ক্রিকেট খেলা হয়ে যাওয়ার পরে তারা কোট্টারি বাঁধের জলে স্নান করতে যায়। কিন্তু কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঁধের জল প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি ফুট পর্যন্ত উঠে যায়। ওই তিন মহিলা জানান, তারা যখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তখন ওই একদল যুবককে তারা দেখতে পান।
তারা এই যুবকদের বারণ করেছিলেন এখানে স্নান করতে। চারজন যুবক হোড়কে এখানে পড়ে যান। সেই মহিলারা সেই মুহূর্তে ঠিক কি করবেন বুঝতে না পেরে তারা তাদের শাড়ি খুলে সেই যুবকদের বাঁচাবেন। তারা জানান তারা দুজন ছেলেকে বাঁচাতে পেরেছেন কিন্তু আর বাকি দুজন জলের তোড়ে ভেসে যান। যে দুজনকে তারা বাঁচিয়েছেন তারা হলেন কার্তিক এবং সেন্থিলভেলান। কিন্তু যাদেরকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি তারা হলেন পবিত্রান এবং রঞ্জিত, এরা দুজনেই ছিলেন হবু ডাক্তার।