শুক্রবার, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট এর তৈরি দেশের প্রথম অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল বা রেডার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হল। এদিন, পূর্ব উপকূলের বালাসোরে সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ দেশের প্রথম সারির ফাইটার জেট সুখোই-৩০ এমকেআই থেকে এই আকাশ থেকে ভূমি (এএসএম) ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। মাটি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উচ্চতা দিয়ে উড়তে পারে রুদ্রম।
এই কারনে শত্রুর রেডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম। মিসাইল নিক্ষেপ হওয়ার পরে যদি রেডার বন্ধ করা দেওয়া হয়ও, তাহলেও রেডিয়েশন সিগনেচার চিহ্নিত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এমনকি শত্রুর যে কোনও রেডার ও রেডিয়েশন-নির্ভর নজরদারি ব্যবস্থাকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এই রুদ্রম। জানা গিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বড় হাতিয়ার প্রমাণ হতে পারে।
The New Generation Anti-Radiation Missile (Rudram-1) which is India’s first indigenous anti-radiation missile developed by @DRDO_India for Indian Air Force was tested successfully today at ITR,Balasore. Congratulations to DRDO & other stakeholders for this remarkable achievement.
— Rajnath Singh (मोदी का परिवार) (@rajnathsingh) October 9, 2020
গত কালই ভারতীয় বায়ুসেনার ৮৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গাজিয়াবাদের কাছে বায়ুসেনার হিন্ডন ঘাঁটিতে একটি বর্ণাঢ্য ফ্লাই-পাস্টের আয়োজন করা হয়। এদিনের ফ্লাই-পাস্টে অংশগ্রহণ করেছে এলসিএ তেজস, জাগুয়ার, মিগ-২৯, মিদগ-২১ বাইসন, ও সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও অংশ নিয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত যুদ্ধবিমান থেকে আধুনিক সামরিক পণ্যবাহী বিমান ও প্রথমসারির যুদ্ধবিমান। এসব যুদ্ধ বিমানের পাশাপাশি এদিন ভারতের সর্বাধুনিক ও সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত হওয়া রাফাল যুদ্ধবিমান এরও প্রদর্শন হয়।
৪.৫ প্রজন্মের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান রাফাল এরিয়াল রিকনেসঁস, ইন-ডেপ্থ স্ট্রাইক, গ্রাউন্ড সাপোর্ট,জাহাজ-বিধ্বংসী ভূমিকা পালন করতে পারে রাফাল। এছাড়াও ছিলো ই-ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোশ্যাফট অ্যাসল্ট অ্যান্টি-আর্মর হেলিকপ্টার মি-৩৫।বিশাল ডানার চার-ইঞ্জিন বিশিষ্ট টি-টেলড্ সামরিক পণ্যবাহী বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার। টুইন টার্বো শ্যাফট অ্যাটাক হেলিকপ্টার এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে। এছাড়াও ছিলো সুপারসনিক এয়ার কমব্যাট ইন্টারসেপ্টপর যুদ্ধবিমান মিগ ২১ বাইসন।