ভারতবার্তা ওয়েবডেস্ক: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩রা মে পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। তার মধ্যেও করোনা সংক্রমণ পৌঁছেছে ১৩ হাজারের উপরে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছতে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের করা একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট থেকে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। যদিও ভারতে চালু থাকা লকডাউনের প্রভাবে এই সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে আবার ধীরে ধীরে কমতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরের সপ্তাহ থেকেই ভারতে শুরু হবে অনেক বেশি মাত্রায় করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা। যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে তাদের সকলকেই পরীক্ষা করা হবে আগামী এক সপ্তাহে। আর এই পরীক্ষা করলেই যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পরীক্ষা করার পাশাপাশি করা হবে আইসোলেশনও। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে আছে অগুনতি মানুষ। তাদের সকলকেই পরীক্ষা করা হবে। আর পরীক্ষা করলেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে।
দেশ জুড়ে লকডাউন বেড়ে হয়েছে ৩রা মে পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করার আগেই অনেক রাজ্যেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল। স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে যেসব রাজ্য আগে থেকেই লকডাউন জারি করে সাবধানতা অবলম্বন করেছিল, দেশে সংক্রমণ বাড়লেও তাদের উপর এতটা প্রভাব পড়বে না। বিহার, রাজস্থান, কেরালা, পাঞ্জাবে সঠিক সময়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল বলেই আজ সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কম বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।