দেশনিউজ

করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্কের জের, ২০ জন যাত্রী নিয়ে আশঙ্কা কেন্দ্রের

Advertisement

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন নিয়ে দেশে ফের কঠোর বিধি জারি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবারই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সেই নিষেধাজ্ঞা চালু হওয়ার আগে গত দু’দিনে অন্তত ২০ জন ব্রিটেনফেরত যাত্রী ও বিমানকর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দিল্লি, অমৃতসর, কলকাতা, আমেদাবাদ এবং চেন্নাইতে আসা ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্টের সময়ই তাঁদের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। ইতিমধ্যেই পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে ওই ২০ জনের লালারসের নমুনা। এই করোনা ভাইরাস ব্রিটেনের নয়া স্ট্রেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে পরীক্ষার ফলাফলে তা নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। ব্রিটেন এবং ইটালির মতো দেশে করোনার নয়া প্রকারভেদ ভিইউআই-২০২০১২/০১ বা বি.১.১.৭- তে বিপর্যস্ত।

ব্রিটেনফেরত যে যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের ঘিরে এখন উদ্বেগ, তাঁদের মধ্যে ৫ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। ৭ জন যাত্রী এবং ১ জন বিমানকর্মী নামেন অমৃতসর বিমানবন্দরে। কলকাতায় ২ জন, আমদাবাদে ৪ জন এবং চেন্নাইয়ে নামেন ১ জন করে যাত্রী। এদিকে, রবিবারই ব্রিটেন থেকে শহরে আসা দুজনের দেহে কোভিড ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, তাদের কলকাতার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ২৫ জন যাত্রীর মধ্যে এই দু’জনের করোনা পজিটিভ আসে।

জানা গিয়েছে এই ভাইরাস স্ট্রেনের সংক্রমণ প্রায় ৭০ শতাংশ দ্রুত। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এখনই বিশেষ চিন্তার প্রয়োজন নেই। জানান হয়েছে যে ভাইরাসের বিবর্তনের ক্ষেত্রে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি চিফ মাইক রায়ান অনলাইন বৈঠকে বলেন, ‘এখন স্বচ্ছতা থাকা খুব প্রয়োজন। এই বিষয়টি যা সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত। আর এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ জানার বিষয় যে ভাইরাসের বিবর্তনের সময় এমনটা হতেই পারে। খুব কাছের থেকে এই ভাইরাসের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে।’ যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের মারণ প্রভাবের বিষয়ে কোনও তথ্য হু পায়নি, এমনটাই জানান হয়েছে।

Related Articles

Back to top button