মোদি জামানায় গেরুয়া শিবিরের মুখে আচ্ছে দিন এর প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায় প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক সভাতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি বিজেপি নেতা জনসভাতে দাবি করেন, “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হে”। কিন্তু দেশবাসীর জীবনে কি সত্যিই আচ্ছে দিন আসছে? আসলে গত আট বছরে মোদি জামানায় ভারতীয় টাকার দাম পড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে ভারতীয় মুদ্রায় এক ডলারের যা দাম ছিল, তা চলতি বছরে অন্তত ১৬ টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি লোকসভার বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র সরকারের এমন পরিসংখ্যান চিন্তায় ফেলেছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক ডলারের দাম ছিল ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেই দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬৯ টাকা ৭৯ পয়সা। ঠিক তার এক বছরের মধ্যে ২০১৯ সালের ডলারের প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম ছাড়িয়ে যায় ৭০ টাকা। তারপর করোনা মহামারীর সময় এই দাম সমান থাকলেও সম্প্রতি ভারতীয় মুদ্রা বাজারে নেমে এসেছে মন্দা। চলতি বছরের ১১ জুলাই ১ ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা ৪১ পয়সা অর্থাৎ ৮০ টাকার কাছাকাছি।
স্বভাবতই মোদি জামানায় অর্থনীতির এমন অবস্থার কথা বিচার করে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছে বিরোধীরা। যদিওবা কেন্দ্রের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাবে ভারতীয় মুদ্রার দাম এতখানি কমে গেছে। যেহেতু ভারতীয় শেয়ার বাজারে মন্দা চলছে তাই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে ভরসা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংক সুদ বাড়ানোর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ভারতের শেয়ার বাজার থেকে ক্রমাগত টাকা তুলে নিচ্ছে। আর এতগুলি কারণের সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভারতীয় মুদ্রার উপরে। তবে এই পরিস্থিতি কি করে ঠিক হবে সেই নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন জবাব দিতে পারিনি কেন্দ্র সরকার। এখন জনগণকে বিচার করতে হবে সত্যিই কি আসছে আচ্ছে দিন?