আজকাল দেশের সবাই ট্রেনে ভ্রমন করতে চান কারণ এটা খুবই সস্তা এবং আরামদায়ক একটা ট্রান্সপোর্ট মিডিয়াম। দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন এবং ভারতীয় রেল এই মুহূর্তে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। ভারতের বেশিরভাগ রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চলে কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় এমন আছে যেখানে এখনো ডিজেলের ইঞ্জিনের ট্রেন চলে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি বৈদ্যুতিক ট্রেনের দাম কত? এক কিলোমিটার যদি এই বৈদ্যুতিক ট্রেন চলে তাহলে কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়? শহরের কোন জায়গায় লোডশেডিং হয়ে যাবার পরেও ট্রেন কিন্তু একইভাবে চলতে থাকে। কিন্তু সেটা কিভাবে হয়? চলুন তাহলে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে আপনাদের একটি ট্রেনের মাইলেজ এর ব্যাপারে জানতে হবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যদি এক কিলোমিটার দূরত্ব কোন ট্রেন ভ্রমণ করে তাহলে ২০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে। এটাই আজকের দিনে যে কোন একটা ট্রেনের মাইলেজ বলা যেতে পারে। আজমির রেলওয়ে বিভাগে চলমান বৈদ্যুতিক ট্রেন ১ কিলোমিটারে ২০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে। তবুও আপনি জেনে অবাক হবেন ডিজেল ট্রেনের তুলনায় কিন্তু বৈদ্যুতিক ট্রেনের দাম কম। তার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ট্রেনের বিদ্যুৎ বিল এর জন্য রেলওয়ে এক ইউনিটের জন্য ৬.৫ টাকা দেয়। অর্থাৎ যদি এক কিলোমিটার এই ট্রেন চলে তাহলে ১৩০ টাকা খরচ হবে এই ট্রেনের। যেটা দেখতে গেলে অনেকটাই কম ডিজেলের তুলনায়।
যদি এক কিলোমিটার একটি ডিজেল ট্রেন চালাতে হয় তাহলে প্রায় ৪ লিটার ডিজেল প্রয়োজন প্রয়োজন হয়। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী চার লিটার ডিজেলের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। অতএব ডিজেল ট্রেনের তুলনায় বৈদ্যুতিক ট্রেন কিন্তু অপেক্ষা কিন্তু অনেকটাই বেশি সস্তা। তাই রেলওয়ে দেশের প্রতিটি কোনায় এখন বৈদ্যুতিক ট্রেন সম্প্রসারণ করতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার প্রশ্নটা হল, যদি বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েও যায় তাহলে ও কিভাবে বৈদ্যুতিক ট্রেন চলতে পারে? এর সহজ উত্তরটা হল পাওয়ার গ্রিড থেকে সরাসরি রেলওয়েতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সেই কারণে এখানে কখনোই পাওয়ার কাট সম্ভব নয়। এর কারণেই রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বিদ্যুতের বিভিন্ন স্টেশন দেখা যায়।