উন্নত ভারত গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা ভারত সরকার গ্রহণ করেছে তাতে কিন্তু রেল মন্ত্রকের একটা বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় রেল মন্ত্রক প্রতিবছর উন্নত রেল পরিষেবা মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে প্রতিটি রেল স্টেশনের জন্য। পশ্চিমবঙ্গে রেল কাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে ৬২ টি স্টেশনের পুনঃউন্নয়ন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা দেওয়া হবে এই সমস্ত স্টেশনে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রত্যেকটি স্টেশনের প্রবেশপথ এবং বাহির পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।
সমস্ত বড় স্টেশন গুলিতে যাত্রীদের বিশ্রামের সু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত স্টেশনে থাকতে চলেছে ফুড কোর্ট থেকে শুরু করে লাউঞ্জ রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা। গত এক বছরে পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য প্রচুর নতুন ট্রেন নিয়ে আসা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রেল পরিষেবাকে অত্যন্ত উন্নত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি যাত্রী যাতে নিরাপদ দ্রুত এবং আরামদায়ক সফর করতে পারে, তার জন্য পূর্ব রেল সবসময় এরকম পরিষেবা দিয়ে থাকে। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেছে, সাবআরবান এরিয়ায় বেশ কিছু স্টেশনে এবং প্লাটফর্মে রেল কর্তৃপক্ষের অননুমোদিত বেশ কিছু দোকান গড়ে উঠেছে। কোন কোন স্টেশনের প্লাটফর্ম যেন বিকেলের পর থেকেই একেবারে সাময়িক সবজি বাজারে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে যাত্রীদের ট্রেনে উঠানামা করতে অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই কারণেই এবার সেই সমস্ত বিষয়গুলিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে।
ব্যস্ত সময়ে জায়গার অভাবে স্বল্প পরিসরের মধ্যে অযথাই ঠেলাঠেলি হচ্ছে এই সমস্ত স্টেশনে। ফলে যে কোন মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা তৈরি হতে পারে যা কোনোভাবেই অভিপ্রেত নয়। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এই সমস্ত দোকানগুলিতে বিক্রি হওয়া পণ্যের গুণগতমান যথেষ্ট নয় এবং অনৈতিকভাবে তারা স্টেশন দখল করে বসে আছেন। সবজির উচ্ছিষ্ট অংশ প্লাটফর্ম এবং রেল ট্র্যাকের উপরে ছড়িয়ে রাখা হচ্ছে যা যাত্রীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থাকতে বাধ্য করছে। ইতিপূর্বেই পূর্ব রেল এই সমস্ত দোকানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি। ফলে এবারে এই বিষয়টা নিয়ে আরো কড়াকড়ি করতে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে।