Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

পুরনো দিনের সুবিধা ফিরছে এসি ইকোনমি ক্লাসে, বড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের

ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার…

Avatar

ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর ভারতীয় রেল সর্বক্ষণ চেষ্টা করে যাত্রীদের উন্নতমানের পরিষেবা প্রদান করার। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে রেলকে কিছুদিন আগে বাধ্য হয়ে তাদের বেশ কিছু পরিষেবা বন্ধ করতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে দেশে করোনার পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় রয়েছে। তাই ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে রেলের এসি ইকোনমি ক্লাসে আবার ফিরছে চাদর, কম্বল।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই ভারতীয় রেল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগিতে বালিশ, কম্বল, চাদর, তোয়ালে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। একইসঙ্গে ট্রেনের বগিতে জানালায় পর্দাও খুলে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে গত বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রক ও রেলবোর্ড যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে আবারো পুরনো পরিষেবা ফেরাবে ভারতীয় রেল। অতিমারির ছোঁয়াচে প্রকৃতির জন্যই ট্রেনে বালিশ, কম্বল, তোয়ালে, চাদর দেওয়ার নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন থেকে আবার তা শুরু হবে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২০ সালের ১১ মে ট্রেনে এই পরিষেবা দেওয়া শুরু হলেও ২০২১ সালের ৫ মে ফের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে এই সময়কালে রেল একটি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছিল। করোনাকালে ট্রেন সফরের সময় যারা বালিশ চাদর কম্বল ইত্যাদি নিচে চান তাদের জন্য রেল বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছিল। প্রথমে দিল্লি স্টেশনে শুরু হলেও পরে অনেক বড় স্টেশনে এই সুবিধা মিলত। এর জন্য যাত্রীদের মাথাপিছু খরচ করতে হতো ৩০০ টাকা। তার বিনিময়ে রেল একটি কম্বল, একটি বিছানায় পাতার চাদর, একটি বালিশ, বালিশের কভার, একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া যায় একটি ব্যাগ, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, চুলে মাখার তেল, চিরুনি, স্যানিটাইজার, পেপার সোপ ও টিস্যু পেপার দিত।

এই কিটগুলি কেনার পর তা আর রেলকে ফেরত দেওয়ার কোনো ব্যাপার ছিল না। কেউ চাইলে এই কিট বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন বা ট্রেনের ভিতরে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে পারেন। ৩০০ টাকা ছাড়াও সামান্য সস্তা ১৫০ টাকায় আরেকটি কিট পাওয়া যেত যাতে শুধুমাত্র কম্বল দেওয়া হত। তবে সেসব এখন অতীত। আবার মিলবে কাগজের প্যাকেটে বিছানার সরঞ্জাম। সেই সাথে এসি ইকোনমিক ক্লাসে বগির ভিতরে ও জানালায় ঝুলবে পর্দা।

About Author