ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় রেলের পথচলা শুরু হয়েছিল। সুপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে ভারতীয় রেল ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় রেল এখন ভারতের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রধানত মালপত্র আনা নেওয়ার কাজের জন্যই ব্রিটিশরা ভারতীয় রেল প্রচলন করেছিল। এছাড়াও দার্জিলিং এবং সিমলার মধ্যে জায়গাতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বসানো হয়েছিল রেললাইন। জানলে আপনারা হয়তো অবাক হবেন ব্রিটিশ ভারতের শীতকালীন রাজধানী ছিল কলকাতায় এবং গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল হিমাচল প্রদেশ। সেই কারণে নিজেদের সুবিধার্থে নানান জায়গায় ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল ব্রিটিশরা। হিমাচল প্রদেশের সিমলাতে একটি বিশ্ববিখ্যাত টয় ট্রেন রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পেয়ে গিয়েছে। এই ট্রেনের কথা শুনলে আপনিও হয়তো চমকে উঠবেন।
এই টয় ট্রেন চলে কালকা থেকে সিমলার মধ্যে। এই রেল সিমলা থেকে দুপুর ১২ টার সময় ছাড়ে এবং বিকেল পাঁচটা নাগাদ কালকা পৌছে যায়। এই গোটা রেলপথে এই ট্রেনটি কেবলমাত্র একটি জায়গাতে দাঁড়ায় এবং সেই জায়গাটির নাম হল বরেগ। আর সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো, এই ট্রেনে শুধুমাত্র ১৫ জন যাত্রী একসাথে যেতে পারেন। যদিও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার থেকে এই ট্রেনের যাত্রা অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ। তবে এই যাত্রা করার সময় আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
কালকা স্টেশন থেকে সিমলার দূরত্ব ৯৪ কিলোমিটার এবং এই ট্রেনে ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে ৮০০ টাকা খরচ করতে হবে। আর এই বিনিময়ে আপনি গোটা পথ একটা ছোট ট্রেনে চেপে ঘুরতে পারবেন। এমনিতেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য সব থেকে বেশি ভরসা করা হয় ট্রেনকে। আর সেই ট্রেন সফরে যদি রোমাঞ্চ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই কখনো সিমলা গেলে অবশ্যই এই ট্রেনে সফর করবেন।