এবার থেকে কি দূর পাল্লার রুটে চলবে ডাবল ইঞ্জিন ট্রেন? জেনে নিন এই ট্রেনের ব্যাপারে সমস্ত তথ্য
ভারতের ডাবল ইঞ্জিন ট্রেন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে জোর কদমে
যাতায়াতের ক্ষেত্রে মানুষজনের ট্রেনের প্রতি চাহিদা কিছুটা হলেও আজকের দিনে কমলেও, এখনো পর্যন্ত ভারতীয় রেল ভারতের লাইফ লাইন হয়ে রয়েছে। সবদিক থেকে বিচার করলে ভারতীয় রেল এখনো পর্যন্ত ভারতের সবথেকে পুরনো ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এবং সবথেকে জনপ্রিয় ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম। তবে অনেক সময় এই ভারতীয় রেলে সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ট্রেনের গতি এবং সময়। ভারতীয় রেলের সাধারণ ট্রেনগুলি খুব একটা বেশি জোরে চলেনা এবং সেই কারণে দিল্লি এবং অন্যান্য তিনটি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা বেশ শক্ত হয়ে পড়ে। এমনিতেই ভারতের রাজধানী দিল্লির সঙ্গে মুম্বাই এবং চেন্নাই এর দূরত্ব অনেক বেশি। তাই এবারে যাতে চারটি মেট্রো শহরের মধ্যে কানেকশন ভালো থাকে, তার লক্ষ্যে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলওয়ে। একটি সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে রেলওয়ে জানিয়েছে যে, এবার থেকে ভারতে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রেন চালানো হবে।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে ট্রেনে ডাবল লোকো ইঞ্জিন বসানো হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেনের গতি সাধারণের থেকে অনেকটা বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক কম সময়ের মধ্যে এই ট্রেন গতি অর্জন করে নিতে পারবে। এমন পরিস্থিতিতে দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করা মানুষের ২-৩ ঘণ্টা বাঁচবে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করলে দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করার সময় বাঁচবে। দিল্লি থেকে সব থেকে কাছের মেট্রো শহর হল কলকাতা এবং সেই কারণে কলকাতার সঙ্গে দিল্লির ট্রেন অনেক বেশি। সেই কারণে যাতে কলকাতা এবং দিল্লির মধ্যে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না হয়, তার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্র বাঁক, স্টেশন স্টপেজ এবং সিগন্যালের কারণে ট্রেনের গতি কমে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে ট্রেন চলাচলে সমস্যা হয়। এর ফলে, একদিকে যেমন ট্রেন চালাতে অনেক সময় লাগে, এবং পাশাপাশি গতি ফিরে পেতে অনেক সময় লাগে।
সেই কারণে, একই দূরত্বে রেল মন্ত্রক পুশ-পুল প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে একটি ট্রেনের একটি ট্রায়াল পরিচালনা করেছিল। এই পরীক্ষা চলাকালীন, ট্রেনটি এই দূরত্ব কভার করতে ২ ঘন্টা ২০ মিনিট বাঁচিয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক দীর্ঘ রুটেও এ ধরনের পুশ পুল পদ্ধতির ট্রেন চালানোর ট্রায়াল চলছে। এর পাশাপাশি, রেল পুশ-পুল প্রযুক্তির সাথে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর জন্য ডাবল লোকো বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রযুক্তির ভিত্তিতে ২০০টি ট্রেন প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে মানুষ দীর্ঘ দূরত্ব কভার করতে সময় বাঁচাতে পারে।