আপনি যদি ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান এবং নিশ্চিত টিকিট পেতে সক্ষম না হন, তবে আপনার জন্য কিন্তু ট্রাভেল করা বিশেষ কঠিন একটা বিষয় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু রেলওয়ে সাধারণ মানুষকে এমন অনেক ধরনের কোটা প্রোভাইড করে থাকে যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে নিশ্চিত ট্রেনের টিকিট পেতে পারেন। এর মধ্যে কয়েকটি কোটার ব্যাপারে আজ আমরা কথা বলতে চলেছি।
১. লেডিস কোটা
৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলারা রেলে এই ধরনের কোটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই। মহিলা কোটার অধীনে মহিলারা সহজেই ট্রেনের টিকিট পেতে পারেন।
২. উচ্চ অফিসিয়াল বা হেডকোয়ার্টার কোটা
রেলওয়ে কর্মকর্তা আমলা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য ভিআইপিরা এই কোটার অধীনে যাতায়াত করতে পারেন। তবে এই কোটা আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে পাওয়া যায়।
৩. প্রতিরক্ষা কোটা
সেনাবাহিনীর বর্তমান বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এবং সিআরপিএফ বা ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মচারীরা এই কোটার অধীনে টিকিট কাটতে পারেন।
৪. সংসদ ভবন কোটা
ভারতীয় সাংসদরা এই কোটা ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও এই কোটা ব্যবহার করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতি এবং বিধায়করা এই কোটায় যাতায়াত করতে পারেন।
৫. বিদেশি পর্যটক কোটা
যারা বিদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণ করতে আসেন তাদের জন্য এই কোটা রয়েছে ভারতীয় রেলে।
৬. ডিউটি পাস কোটা
দাপ্তরিক কাজে যাতায়াতকারী রেলের কর্মীরা এই কোটা ব্যবহার করতে পারেন। এখানে ক্লাস অনুযায়ী নির্দিষ্ট কয়েকটা সিট থাকে প্রতিটি সেকশনে।
৭. সিনিয়র সিটিজেন কোটা
৬০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৮ বছরের বেশি বয়সী মহিলারা এই কোটা ব্যবহার করতে পারেন।
৮. প্রতিবন্ধী কোটা
৪০ শতাংশ বা তার বেশি শতাংশ সহ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য এই কোটা দেওয়া হয়েছে। এই কোটার অধীনে প্রতিবন্ধীদের জন্য ট্রেনে প্রতি কোচে নূন্যতম দুটি আসন রয়েছে।
৯. রেলওয়ে কর্মচারী কোটা
বেসরকারিভাবে ভ্রমণের জন্য রেলের কর্মচারী এবং তার পরিবারের সদস্যরা এই কোটা ব্যবহার করতে পারেন।
১০. রোডসাইড বা রিমোট লোকেশন কোটা
কম্পিউটারাইজ নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত নয় এমন বড় স্টেশনে এই কোটায় সংরক্ষণ আপনি করতে পারেন।
১১. যুব কোটা
এই কোটা ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী বেকারদের জন্য। জন্মসংসাপত্র, সরকারি এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের অধীনে জারি করা শংসাপত্র দেখিয়ে এই কোটায় টিকিট কাটানো যেতে পারে।