সংরক্ষিত কোচে আর অপ্রয়োজনীয় ভিড় থাকবে না। নিশ্চিত টিকিটধারী যাত্রীরা তাদের আসনে আরাম করে বসতে পারবেন, বার্থে ঘুমাতে পারবেন।
সাধারণ বা টিকিট ছাড়া সংরক্ষিত কোচে ধরা পড়লে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করে পরবর্তী স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হবে। রেলের এই ব্যবস্থা কেবল নিশ্চিত টিকিটের যাত্রীদের সুবিধার্থে নয়, ট্রেনে চুরি, ছিনতাই এর মতো ঘটনাও রোধ করবে। সংরক্ষিত টিকিটের বুকিং শুধুমাত্র অনুমোদিত রেলওয়ে কাউন্টার এবং আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়। কনফার্মড টিকিট না পেলে কিছু যাত্রী প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে টিটিই থেকে স্লিপার টিকিট কেটে স্লিপার ক্লাসের কোচে ঢুকে পড়েন। কিছু যাত্রী সাধারণ টিকিট নিয়ে স্লিপার কোচে বসেন। টিটিই-র সঙ্গে দেখা হলে তাঁরা স্লিপার টিকিট কেটে কোচে যাতায়াতের অধিকার পান।
এমন পরিস্থিতিতে নিশ্চিত টিকিটের যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। কনফার্মড টিকিট থাকার পরও মানুষ তাদের বার্থে ঠিকমতো বসতে পারছে না।গ্রীষ্মের ছুটি ও উৎসবের সময় এসি কোচের অপেক্ষার হার ২০০-র বেশি এবং স্লিপারের অপেক্ষার হার ৩০০-র বেশি। এমনকি অফ সিজনেও। শুধুমাত্র কনফার্ম টিকিটধারী যাত্রীরা নিয়ম মেনে সংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত করতে পারবেন।
জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য অরবিন্দ কুমার সিং বলছেন, কেন রেল ইচ্ছামতো ওয়েটিং টিকিট দেয়। ওয়েটিং টিকিট নিয়েও নতুন নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে রেলকে। এখন সাধারণ কাউন্টার থেকে নিকটবর্তী স্টেশনগুলিতে স্লিপার টিকিট বুকিংও বন্ধ হয়ে গেছে।
ট্রেনের স্লিপার কোচ কমেছে, বেড়েছে এসি কোচ। তার পরেও পুরনো নিয়মে কোচদের ওয়েটিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে কোচগুলোতে ওয়েটিং টিকিটের যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। এ অবস্থায় সংরক্ষিত ওয়েটিং টিকিটের সীমাও বেঁধে দেওয়া হবে। রেল বোর্ড ও জোনাল রেলওয়ে স্তরে চলছে মহিষম। এই পরিস্থিতিতে এসি, স্লিপার ও জেনারেল কোচ দিয়ে আলাদা রেক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল মন্ত্রক। এসি ট্রেনগুলি জেনারেল ট্রেনের মতো এবং হামসফর অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের মতো চলবে। রেল বোর্ড ও জোনাল রেলওয়ে স্তরে আলোচনা চলছে।