Indian Railways: ট্রেনে ধূমপান করলেই মহা-বিপদ, দুর্ঘটনা রুখতে বড় পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব রেলওয়ের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনের ৮৭% এসি যাত্রীবাহী কোচ এফডিবিএ সিস্টেম দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে।
বিগত এক বছরে ট্রেনে অগ্নি সংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে একাধিক। আর এই কারণে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে যেন কোন ভাবেই প্যাসেঞ্জাররা ধূমপান করতে না পারে সেই জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চলেছে ভারতীয় রেলওয়ে। ইতিপূর্বে ট্রেনে ধূমপান রোধ করতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেন চালালেও আশানুরূপ ফল মেলেনি। প্রতিটি কোচে ‘নো স্মোকিং’ বিজ্ঞাপন দিয়েও ধূমপান রোধ করতে পারেনি ভারতীয় রেলওয়ে। শুধু তাই নয়, দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে ধূমপান প্রতিরোধ করার জন্য জরিমানা নেওয়া চালু করলেও সেই নিয়ম না মেনে নির্দ্বিধায় ধূমপান করেন অনেক প্যাসেঞ্জার।
তবে এবার দূরপাল্লার ট্রেন গুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রেলওয়ে অফ ইন্ডিয়া। জানা গেছে, ট্রেনের কোচগুলিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্মোক ডিটেক্টর। যা ধূমপান করলেই ধরে ফেলবে এই স্মোক ডিটেক্টর। পাশাপাশি কোন কোচে ধুমপান করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য প্রদান করবে এই যন্ত্র। ইতিমধ্যে ভারতীয় রেলওয়ে কোচগুলিতে ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন (এফডিবিএ) সিস্টেম ইনস্টল করেছে যাতে ট্রেনকে সমস্ত ধরণের ধোঁয়া বা আগুনের প্রাদুর্ভাব রোধ করা যায়।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ব রেলওয়ের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনের ৮৭% এসি যাত্রীবাহী কোচ এফডিবিএ সিস্টেম দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাকি ১৪৩টি কোচে খুব শীঘ্রই এই ডিভাইস যুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে রেল বিভাগের দ্বারা। কি প্রযুক্তিতে কাজ করবে এই এফডিবিএ সিস্টেম? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. কোন স্থান থেকে ধোয়া নির্গত হলে তা প্রথমে স্মোক সেন্সর দ্বারা সনাক্তকরণ করা হবে।
২. ধোয়ার পরিমাণ কম হলে প্রথমে কন্ট্রোল প্যানেলে লাল সিগন্যাল দিতে শুরু করবে।
৩. ধোয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নির্দিষ্ট কোচের ভেতর লাল বাতি জ্বলতে থাকবে।
৪. এরপর ধোঁয়া বাড়তে থাকলে অটো পাইলট মোডে ট্রেন ব্রেক করতে শুরু করবে।
৫. সর্বশেষে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যাবে এবং ঘোষণা শুরু হবে, ‘দয়া করে কম্পার্টমেন্ট খালি করুন আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।’