ভারতঃ করোনা আবহে থমকে গেছে বিশ্ববাসীর জীবন। তারমাঝে ভারতের অর্থনীতির পুরো বেহাল দশা। চলতি বছরের তৃতীয় মাস থেকে চলা কড়া লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। বন্ধ ছিলো বহু দোকান , বাজার , শপিং মল, রেস্তোরা এবং নানা প্রতিষ্ঠান। এমনকি আনলক-৪ এ এক এক করে সব খুললেও আগের থেকে কমেছে মানুষের আনাগোনা। দেশে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এখনও ৯.০৫ শতাংশ।
আগের মতন সরবরাহ ও জোগানের ঘাটতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি, কমেনি বিভিন্ন পণ্যের দাম। দেশের বহু মানুষ চাকরি হারিয়ে রীতিমত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেখানে আবার আবহাওয়ার পরিবর্তনে ফলনের ক্ষতির আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে। যার ফলে আবার বাড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম। যেমন মাঝেই মাঝেই বাড়ছে ডিম, আলু এবং পেঁয়াজের দাম। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই হাতছাড়া দাম মাছ এবং মাংসের।
রিজার্ভ ব্যাংক ও তাদের সাম্প্রতিক বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করে জানিয়েছে “সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জেরে জলবায়ুর পরিবর্তন কৃষির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে”। এসবের মাঝেই আরো নিষ্পেষিত হচ্ছে কোটি কোটি শ্রমিক, নিম্ন আয়ের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কারণ একেই করোনায় তাদের নেই কাজ অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম তাদের রোজকার চিন্তার কারণ।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের জেরে এদেশে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকট তৈরি হয়েছিল, যার জেরে এক ধাক্কায় প্রচুর শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু তার নথিও নেই সরকারের কাছে। এমনকি নিজেদের পরিস্থিতি আর হাল ফেরাতে শহর, রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে আবার ছুটে যাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।