মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতির থাবা পড়েছে। ভারতের ঝুলিতে প্রবেশ করেছে একের পর এক সাফল্য। আবারও একবার বানিজ্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য এলো ভারতের। বিশ্ব ব্যাংকের ২০২০ সালের এক সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’এ ভারতের বিস্ময়করভাবে উন্নতি সাধন ঘটেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের একটি রিপোর্টে জানানো হয় যে, ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’এ ১৯০ টি দেশের মধ্যে ভারত এক লম্বা লাফ দিয়ে ১৪ টি স্থান পেরিয়ে ৬৩ নম্বর স্থান দখল করে। গত ৬ বছরে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের অবস্থানের ক্রমবর্ধমানশীল। ২০১৪ সালে ভারত ৭৯ স্থান দখল করে যা মোদী সরকার আসার আগে ছিল ১৪২।গত বছর ভারতের স্থান ছিল ৭৭।বিশ্ব ব্যাংকের জারি করা প্রতিবেদন অনুসারে ভারত পর পর তৃতীয়বারের মতো শীর্ষ দশ সংস্কারকারীদের মধ্যে নিজের স্থান বজায় রেখেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের মতে অর্থনীতিতে শীর্ষস্থানীয় ১০ টি সংশোধনকারী দেশের মধ্যে ভারত এবং চিনের নেতারা ডুইং বিজনেস সূচককে তাদের সংস্কার কৌশলের প্রধান উপাদান হিসাবে গ্রহণ করে। বিশ্ব ব্যাংক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচারের প্রশংসা করেছেন। এবং জানান যে মোদীর এই প্রচার যা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে, বিশেষত বেসরকারি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং দেশের সামগ্রিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে সমর্থ হয়েছে। এছাড়া বানিজ্য অংশীদারদের জন্য ভারত একক ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি, বন্দরের অবকাঠামোতে উন্নীতকরণ করায় এবং নথিপত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাবে জমা দেওয়ায় উন্নত সংস্থা গুলির জন্য আমদানি এবং রপ্তানি সহজ হয়েছে।
২০০৩ সালে বিশ্ব ব্যাংক দ্বারা চালু করা ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ এ ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১০ টি সূচকের কথা বলা হয়।যাকে ব্যবসার জীবনকাল বলা যেতে পারে এগুলি হল – ব্যবসা শুরু করা, নির্মাণের অনুমতি, বিদ্যুৎ পাওয়া, সম্পত্তি নিবন্ধন করা, ঋণ পাওয়া,সংখ্যালঘু বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর প্রদান, সীমান্তের ওপারে বাণিজ্য, প্রয়োগ চুক্তি, এবং অর্থশূন্যতার সমাধান।এই সূচক গুলির মধ্যে সাতটি সূচক ভারতের থাকায় তা ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’এ ভারতের পদমর্যাদার উন্নতি ঘটিয়েছে।