আজকাল চাষের ধারা পাল্টে গেছে। কম খরচে ও মরসুমি ফসল রোপণ করে কৃষকরা অনেক গুণ বেশি মুনাফা অর্জন করছেন। এই ব্যবসা থেকে কতটা, কীভাবে মুনাফা করতে হবে সে ব্যাপারে জানানো হবে এই প্রতিবেদনে। যারা ধান, গম ও ভুট্টা চাষ করছেন না তারাই সবজি চাষ করছেন। এমতাবস্থায় অনেক টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে লোকসান ও পরিশ্রমও কম হয়। কিছু জমিতে চাষ করে ভালই লাভ করছেন চাষিরা। এই কাজে খরচের তিনগুণ আয় হচ্ছে।
নিজ জমিতে কঠোর পরিশ্রম করে প্রথাগত চাষ করেন বহির্ভাগ কৃষক। কিন্তু তাতে আশানুরূপ মুনাফা অনেক সময় হয় না। কখনও কখনও এমন হয় যে বিনিয়োগ করা টাকাও পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি ও ফসল দুটো পদ্ধতিই বদল করতে হয়েছে।
বর্তমানে আবহাওয়া অনুযায়ী সবজি চাষ করা হয়। খরচের চেয়ে লাভই বেশি। এছাড়া খামার থেকে খুব ভাল পরিমাণ বিক্রি করা হয়। এখন কুমড় চাষ ভাল হচ্ছে। এ সময় প্রতিদিনের কুমড়া বিক্রি করা সহজ হয়েছে, এমনটাও জানা যায় ব্যবসায়ীরা নিজেই খামার থেকে কুমড়া কিনে নিয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে মুনাফা বেশি হয়। এই ভাবে ব্যবসা করে মাসে এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি আয় করা খুব সহজ বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যবসা ধরে নেওয়ার পর আয়ের পরিমান আরো বেশি হতে পারে।
কুমড় চাষে লাভ আছে। মরসুমে ব্যবসায়ীরা খামার থেকেই সব মালামাল কিনে নিয়ে যান। একর জমিতে কুমড় রোপণ করে ভাল যায় করা সম্ভব। প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে এই চাষ ও ব্যবসার জন্য। যার মধ্যে জমিতে লাঙ্গল এবং ফসল রোপণের খরচ রয়েছে। অন্যদিকে লাভের কথা বললে এক লাখের বেশি মুনাফা হতে পারে। রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদন করলে বাজারে আলাদা কদর রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য ও স্বাদ দুটোই ঠিক থাকে।
কুমড় গাছ লাগানোর ৬৫ দিন পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করে। এক পিস কুমড়া বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ টাকায়। কুমড়োর দাম আবহাওয়ার অনুকূলে। এর হার ওঠানামা করতে থাকে। দেড় মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফল বেশি দিতে শুরু করে।