৪৬,৮০০ টাকা বাঁচাতে চান! ৩১ মার্চের আগে অবশ্যই বিনিয়োগ করুন এই সমস্ত সরকারি স্কিমে
সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করে আপনি আয়কর বাঁচাতে পারেন
২০২২-২৩ অর্থবছর প্রায় শেষের পথে। ৩১ মার্চে আপনার সারা বছরের ইনকাম ট্যাক্স গণনা করা হবে। আপনি ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) দাখিল করার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় পেলেও, আপনি ৩১ মার্চ থেকে যে পরিমাণ জমা করেছেন তার উপর আপনি আয়কর সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য এমন কিছু সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প নিয়ে এসেছি, যাতে বিনিয়োগ করলে আপনি বছরে ৪৬,৮০০ টাকা পর্যন্ত আয়কর বাঁচাতে পারেন। যারা সর্বোচ্চ ট্যাক্স স্ল্যাবে আয়কর প্রদান করেন অর্থাৎ ৩০ শতাংশ আয়কর দেন তারাই এই টাকা বাঁচাতে পারবেন। অনেকগুলি স্কিম আয়কর আইনের ধারা 80C-এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আপনি আপনার করযোগ্য আয় থেকে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কাটাতে পারেন। তার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত তিনটি স্কিম সম্বন্ধে আজকে আপনাদের জানাবো।
১) পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড (PPF):
পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্বন্ধে আজকালকার দিনে মোটামুটি সকলেই ওয়াকিবহাল। এতে আয়করও ছাড় পাওয়া যায়। পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে আপনার নিকটবর্তী ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যেতে হবে। বছরে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামাতে পারবেন আপনি আপনার এই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে। এই মুহূর্তে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের পরিমাণ ৭.১ শতাংশ। এটির ম্যাচিওরিটির সময়কাল ১৫ বছর রয়েছে। তবে, ১৫ বছর পরে এটি ৫-৫ বছরের ব্লকে বাড়ানো যেতে পারে।
২) ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC):
এই ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট খুব একটা জনপ্রিয় স্কিম না হলেও, এটিতে বিনিয়োগ করলে আপনি লাভবান হতে পারেন। এতে বিনিয়োগ করলে সাত শতাংশ চক্রবৃদ্ধি সুদ হারে, ৫ বছর পর তা ম্যাচিওর হবে। প্রতি বছর গণনা করা হয়, কিন্তু শুধুমাত্র মেয়াদপূর্তিতে প্রদান করা হয়। এতে আপনি সর্বনিম্ন হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই। এই স্কিমটিতেও বিনিয়োগ করলে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়।
৩) কিষান বিকাশ পত্র (KVP):
এই স্কিমে কিষান বিকাশ পত্র শংসাপত্র কিনে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যাবে। সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১০০০ টাকা। এই স্কিমে বিনিয়োগের তেমন কোন উর্ধ্বসীমা নেই। তবে আপনি যদি এই স্কিমের জন্য ৫০ হাজার টাকার বেশি জমা দিতে চান, তাহলে আপনাকে প্যান কার্ড বিবরণ দিতে হবে। জানিয়ে রাখি, এই স্কিমে আপনি আপনার আমানতের উপর ৭.২ শতাংশ সুদ পাবেন। তবে এই সুদ বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে দেওয়া হবে। আপনার টাকা জমা দেওয়ার ১০ বছর ৪ মাসের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সে যেকোনো নাগরিক এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।