Investment: বিনিয়োগ মাত্র ১,২০০ টাকা, অবসরের পর রিটার্ন পাবেন ৭৮ লাখ টাকা
প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে বিনিয়োগ করলে আপনি ৭৮ লাখ টাকা পর্যন্ত ফান্ড তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনার অবসর বয়সের জন্য
অবসর পরিকল্পনায় আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল বিনিয়োগ। আপনাকে একটা এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেখানে মোটা অংকের রিটার্ন আপনি পাবেন এবং তার সাথেই আপনার ঝুঁকি একদম থাকবে না। সেরকমই একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হল মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি। এখানে বিনিয়োগ করে আপনি ব্যাপক রিটার্ন পেতে পারেন। এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এবং বাজারের উত্থান পতন নিয়ে আপনাকে বেশি চিন্তা ভাবনা করতে হয় না। চাকরিজীবীদের জন্য এটা একটা দুর্দান্ত বিকল্প। ৬০ বছর বয়সে পৌঁছে আপনাকে টাকা পয়সার জন্য অন্যের উপরে আর ভরসা করতে হবে না যদি আপনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভালো রিটার্ন পেতে চাইলে আপনার জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা সব থেকে আদর্শ। বাজারের ওঠা নামার উপরে এর রিটার্ন নির্ভর করে না। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকি খুব একটা বেশি নেই। এর থেকে যে রিটার্ন পাওয়া যাবে তা অন্য কোথাও আপনি পাবেন না। যদি আপনি প্রতিমাসে ১২০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ম্যাচিউরিটির সময় ৭৭.৭৯ লক্ষ টাকা পাওয়ার মত স্কিম রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি এই টাকা রোজগার করতে পারবেন।
ধরা যাক কোন একজন ব্যক্তির বয়স ২৫ বছর এবং এসআইপির মাধ্যমে তিনি ভালো কোন মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে শুরু করেছেন। যখন সেই ব্যক্তি বয়স ৬০ বছর হবে অর্থাৎ প্রায় ৩৫ বছর ধরে তিনি বিনিয়োগ করবেন তখন তিনি একটা বিশাল মোটা ফান্ড তৈরি করে ফেলতে পারবেন নিজের অবসর সময়ের জন্য। এই ৩৫ বছর ধরে প্রতি মাসে আপনাকে ১২০০ টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। কেউ যদি ৩৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি ষাট বছর বয়সে ৭৭.৭৯ লক্ষ টাকা হাতে পেয়ে যাবেন।
মিউচুয়াল ফান্ড আপনাকে ১২ শতাংশ করে বার্ষিক সুদ দেবে। তবে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে মিউচুয়াল ফান্ডে যদি আপনি টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য টাকা বিনিয়োগ রাখতে হবে। এতে সুদের হার আপনি বেশি পাবেন এবং রিটার্ন অনেক বেশি হবে। অবসর গ্রহণের পর এই টাকায় যে কেউ স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন এবং কারো উপরে নির্ভরশীল হতে হবে না আপনাকে। তবে হ্যাঁ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে এই সমস্ত ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। বাজার সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।