কৌশিক পোল্ল্যে: সেলিব্রিটি হয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় নজির গড়লেন তিনি। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ তার শরীরে রাজ জমালেও বিশেষ পাত্তা দেননি বিখ্যাত বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুর। চতুর্থবারের জন্য টেস্ট করেও তার দেহে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এটিকে কী বলবেন, চিকিৎসকদের গাফিলতি নাকি কনিকার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা?
গত ১৫ ই মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন গায়িকা। প্রথমে কোনোরকম টেস্ট করাতেও রাজি হননি তিনি, এমনকি নিজের ভ্রমনের ইতিবৃতান্ত সবটাই গোপন করেন। প্রথমবার টেস্টেই রিপোর্ট পজেটিভ এলেও তা মানতে রাজি হননি কনিকা সহ তার পরিবার, এরপর দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষা করেও একই ফল আসায় হসপিটালে ভর্তি হন তিনি। এরপর মাঝে বেশ কিছুদিন তিনি চিকিৎসকদের অধীনেই ছিলেন, তার চিকিৎসা সম্পূর্ন হবার পরেও টেস্ট করে রিপোর্ট পজিটিভ মেলায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ডাক্তাররা।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করেননি তিনি। ওখানকার পথ্য ও খাবার খেতে অনীহাবোধ করতেন। তার আবদার পূরন করতে করতেই ডাক্তারদের কালঘাম ছুটে যেত, এ নিয়ে অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে যা একেবারেই অস্বীকার করেন বছর একচল্লিশের গায়িকা।
বেবি ডল গানটি গেয়ে রাতারাতি স্টার হয়ে যাওয়া কনিকা কাপুর হাসপাতালেও সেলিব্রিটি সুলভ আচরন করে চলেছেন, যা একেবারেই অস্বস্তিকর এমনটাই বক্তব্য, চিকিৎসাকর্মীদের। এরপরেও কনিকাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে জেনে খানিক হতাশই হলেন চিকিৎসকেরা।