চলতি বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমলেও মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের হার। বর্তমানে এপ্রিল মাসের শুরুতে গগনচুম্বী করোনা গ্রাফ দেখে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে গোটা দেশবাসী। আগের বছর এই সময় করোনার ভয়াবহতার কারণে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়েছিল। চলতি বছরেও প্রায় একই রকম অবস্থা গোটা দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু রাজ্য আংশিক লকডাউন ও দৈনিক নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে যাতে কিছুটা হলেও তারা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এরমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে যে এবার কি ট্রেনে ওঠার জন্য করোনা রিপোর্ট লাগবে?
প্রশ্নের উত্তর দিল ভারতীয় রেলের রেল বোর্ড চেয়ারম্যান সুনিল শর্মা। তিনি বলেছেন, “এখন লোকাল বা দূরপাল্লা যেকোন ট্রেনে যাত্রার জন্য করোনা রিপোর্টের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এখন ট্রেনে ওঠার জন্য কোভিড বিধি মানতে হবে।” রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই উদ্বেগজনক করণা পরিস্থিতিতে এখন ট্রেনে উঠতে গেলে সর্বদা ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া যাত্রাকালীন সময় প্রত্যেককে খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় আছে। তবে লোকাল ট্রেনে যা ভিড় হয় তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা যে প্রায় অসম্ভব তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এছাড়াও দেশজুড়ে প্রত্যেকটি রাজ্য তাদের লোকাল ট্রেনে ভিড় কমানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করানোর জন্য কোম্পানী গুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের নবান্ন থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি তাদের ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করবে এবং বাকিটা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মাধ্যমে কাজ হবে।