শ্রেয়া চ্যাটার্জী : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, দুর্গাপুজো হওয়ার পরে কালীপুজো ভাইফোঁটা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী, নৈহাটির বড়মা এবং সবশেষে বলতে গেলে বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক ঠাকুর একেবারে জগদ্বিখ্যাত। মনমুগ্ধকর মূর্তির পাশাপাশি প্যান্ডেলে ছড়িয়ে রয়েছে শিল্পের কারুকার্য। আভিজাত্যের ছোঁয়া।
মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে আমরা হয়তো কমবেশি সবাই গেছি। কিন্তু কারো যদি যাওয়া না হয়ে থাকে তাহলে তিনি কিন্তু চিন্তা করবেন না, একবার ঘুরে আসুন বাঁশবেড়িয়ায়। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকাল এ উঠে ব্যান্ডেলের পরের স্টেশন হলো বাঁশবেড়িয়া। মিলন পল্লীর এবারের থিম মায়াপুরের ইসকন মন্দির।
সেখানে গিয়ে আপনি হয়তো গুলিয়ে ফেলবেন আপনি মায়াপুরে আছেন না আপনি বাঁশবেড়িয়ায় আছেন? ভালো করে দেখলে আরো অবাক হবেন। একেবারে মায়াপুরের ইসকন মন্দির টিকে যেন তুলে আনা হয়েছে এই বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পূজোর প্যান্ডেলের মধ্যে। অপূর্ব সজ্জায় সেজে উঠেছে প্যান্ডেল টি।
শিল্পীর শৈল্পিকতা কে আপনি কুর্নিশ না জানিয়ে পারবেন না। একবার কষ্ট করে গিয়ে যদি উঠতে পারেন তো হলফ করে বলতে পারি আপনার কষ্টটা কিন্তু বিফলে যাবেনা। হয়তো মনে মনে বল উঠবেন আহা কি দেখিলাম।