কলকাতা: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবকে যেমন কাজে লাগিয়ে নিজেদের দলে লোক আনতে চাইছে বিজেপি। ঠিক তেমন পাহাড় দিয়েই কার্যত প্রচার শুরু করার রণকৌশল সাজিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তাই পুজোর আগে পাহাড় পরিদর্শন করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। যদিও তার জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই ঝটিকা সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি তাঁর সফর বাতিল করেন এবং তাঁর পরিবর্তে জেপি নাড্ডা পাহাড় সফরে যান সেখানে তিনি জেলার শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সাংগঠনিক বৈঠক করেন। আর এবার জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে পাহাড়ে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর তার আগে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাহলে কি রাজ্যপালের পাহাড়ে যাওয়াটা বিজেপির কোনও গেম প্ল্যান? নাকি পুরোটাই কাকতালীয়, এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলে উঠছে।
দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা স্বয়ং নিজেই টুইটারে পোস্ট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি 28 অক্টোবর অর্থাৎ আজ বিকেলে দিল্লিতে যাচ্ছি। আগামিকাল বহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমি বৈঠক করব। মুহূর্তের মধ্যেই ধনকরের এই দুইটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়
সদ্য এনডিএ ছেড়েছেন বিমল গুরুং। এমনকি তার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এমন সময় দার্জিলিংয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ যথেষ্ট গোলমেলে। আর তারই মধ্যে গোটা নভেম্বর মাস পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিকে যখন রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাত চরমে তখন রাজ্যপালের পাহাড় সফর এবং তার আগে অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক সবকিছুই পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে রাজ্যপাল পাহাড়ের অবস্থা পরিদর্শন করবেন। সবটাই বিজেপির একুশের ভোটের জন্য একটা রণকৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন আগামিকালের বৈঠকে কী তথ্য উঠে আসে,
সেটাই দেখার।